কংগ্রেস প্রার্থীকে বেধড়ক মার, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। কলকাতা পুর এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহাকে বিবস্ত্র করে, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বড়তলা থানায় সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধরের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরালও হয়েছে। অভিযোগ রবিবার পুরো নির্বাচনের দিন দুপুর বেলা বাড়ি থেকে বেরোলে, তাকে ঘিরে ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা।
কংগ্রেস প্রার্থীকে কাছে পেয়ে মারধর করতে করতে রাস্তায় ফেলে তার পরনের প্যান্ট খুলে নেওয়া হয়। এরপর বিরোধী দলের প্রার্থীকে বিবস্ত্র করেই প্রকাশ্য রাস্তায় চলে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। মারধরের জেরে আহত হন কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। পরে এনআরএস মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে ৷
এদিকে শাসকদলের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল। তাই পুরভোট বাতিলের দাবি তুলে পথে নেমেছ পদ্মশিবির। এদিকে পুরভোট বাতিলের দাবিতে সোমবার কমিশনের সামনে প্রতিবাদ দেখিয়েছে বাম-কংগ্রেস শিবিরও। আর এর মাঝেই সামনে এল এই মারাত্মক ঘটনা।
উল্লেখ্য, ভোট মিটলেও সন্ত্রাসের অভিযোগ যেন শেষ হচ্ছে না। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ নিয়ে ট্যুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের। । রবিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ লোহাপট্টি এলাকার একটি দোকানে যান কলকাতা পুরভোটে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ, রাতে আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরেন কয়েকজন।
আর ও পড়ুন কলকাতা পুরভোটে ম্যাজিক ফিগার পার করলো তৃণমূল
প্রথমে গালিগালাজ করে। এরপর ব্য়াপক মারধর করা হয়। মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে তাঁকে মারা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। গুরুতর আহত হন তিনি। ছাপ্পা ভোট আটকানোর রোষেই হামলা। অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “বাংলায় গণতন্ত্র নয়, চলছে বর্বর দিদিতন্ত্র।
একজন মানুষকে জনসমক্ষে নগ্ন করে বেধড়ক পেটানো হল কলকাতার রাজপথে!!! কী তার অপরাধ? তাঁর অপরাধ সে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে? ছিঃ দিদি ছিঃ ! ধিক্কার !” রাতে তাঁর স্ত্রী-মেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিস সহযোগিতা করেনি। প্রায় ১২ ঘণ্টা কোনও ধরনের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন উত্তর কলকাতা কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট রানা রায়চৌধুরী।