কলকাতা – প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এক ক্যাফেকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, ক্যাফের আড়ালে অবৈধ হুক্কা পার্লার-সহ একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার অভিযোগ জানালেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে রবিবার পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে মারধর, পালটা মারধর ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
ঘটনাস্থল ১৮৮/১৪ এ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড। বাড়ির মালিক আতিকুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় চার মাস আগে বাড়ির গাড়ি বারান্দা ভাড়া নিয়ে ক্যাফে খোলেন জুলিয়ান ও সিমরন নামে দুই উদ্যোক্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্যাফে শুরু হওয়ার পর থেকেই সেখানে অবৈধভাবে হুক্কা পার্লার ও অন্য অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আতিকুর রহমান ক্যাফে মালিকদের একাধিকবার সতর্কও করেন, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি।
রবিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ক্যাফের পাশেই একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সন্দেহ হয়, সেদিন ক্যাফেতে বেশ কিছু অপরিচিত মানুষের যাতায়াত দেখা যায়। বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযোগ, ক্যাফের কর্মীরা তাঁকে মারধর করে। গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধ নিরাপত্তারক্ষী।
অন্যদিকে, ক্যাফের মহিলা কর্মীরা পালটা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁদেরই বাড়ির মালিক আতিকুর রহমান মারধর ও হেনস্থা করেছেন। রাস্তায় ফেলে তাঁদের চুল টেনে, লাথি-ঘুষি মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ক্যাফে মালিকদের দাবি, জীবনের সমস্ত সঞ্চয় বিনিয়োগ করে তাঁরা এই ক্যাফে খুলেছিলেন, কিন্তু রবিবারের ঘটনায় সব তছনছ হয়ে গেছে। তাঁদের আরও দাবি, বাড়ির মালিকের সতর্কবার্তার পর থেকেই হুক্কা পার্লার চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আহত নিরাপত্তারক্ষীও লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে ক্যাফে কর্তৃপক্ষও নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
পুলিশ উভয় পক্ষের অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাফে ঘিরে সমস্যা চলছিল, কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে আগে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।




















