প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্যই গ্রাহামবেল তৈরী করেছিলেন টেলিফোন

প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্যই গ্রাহামবেল তৈরী করেছিলেন টেলিফোন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

১৩ ডিসেম্বর, প্রয়োজন হোক বা অপ্রয়োজন ফোন করা বা ধরার পর আমাদের মুখের প্রথম শব্দ ‘হ্যালো’। বহু কাল থেকে এটাই চলে আসছে। কিন্তু কেন আমরা ব্যক্তির নাম না নিয়ে প্রথম শব্দ ‘হ্যালো’ বলি! কখনোও ভেবেছেন? এটা কিন্তু শুধুই প্রচলিত কথা নয়। এর পেছনে রয়েছে একটা কারণ।যদিও সেই কারণের সত্যতা কতটা তা কখনো কেউ যাচাই করে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। এবার আসা যাক আসল কথায়। প্রয়োজনের তাগিদেই আবিষ্কার হয়েছে পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস। বলা যায়, প্রয়োজন-ই উদ্ভাবনের কারণ।আমরা সকলেই জানি আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। শোনা গিয়েছে তিনি তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনেই এই মাধ্যমটি আবিষ্কার করেন।

অনেকে বলেন, গ্রাহামবেল -এর প্রেমিকার নাম ‘মার্গারেট হ্যালো’। তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্যই প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন।তারপর তিনি ভাবেন, এই টেলিফোনে মানুষ কথার বলার প্রথমে যে শব্দ উচ্চারণ করবে,সেটা তাঁর প্রেমিকার নাম হবে। যাতে তাঁর আবিষ্কারের মাধ্যমে সকলে তাঁর প্রেমিকাকে মনে রাখে।তিনি তখন প্রথম উচ্চারিত শব্দ হিসেবে প্রেমিকার ‘হ্যালো’ নামটি রাখেন।১৮৮৩ সালে এই ‘হ্যালো’ শব্দটি ডিকশনারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার বাংলা অর্থ ‘ওহে’ লেখা হয়।

তবে অনেকেই বলেন এই কারণটি পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন। কারণ তাদের মতে গ্রাহামবেল যাকে বিয়ে করেন তাঁর নাম ‘ম্যাবেল গার্ডিনার হুবার্ড’।তাহলে নাম অনুসারে কিভাবে শুরু হতে পারে এই ‘হ্যালো’-র যাত্রা! শোনা যায় ১৮৭৬ সালে তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করে তাঁর ঠিক এক বছর পর তিনি তাঁর সহকারী কে ফোন করেছিলেন তিনি তখন এই হ্যালো শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাই অনেকেরই মতে গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিষ্কার করলেও ‘হ্যালো’ শব্দটি অন্য আরেক বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন।তিনি হলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী এডিসন, যিনি বৈদ্যুতিক আলোর আবিষ্কারক ‘থমাস আলভা এডিসন’।

টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার শুরুর দিকে কোনও রিং-এর ব্যবস্থা ছিল না। একপাশের টেলিফোন লাইনের সঙ্গে অপর পাশের লাইন প্রায় সর্বদা যুক্ত থাকত। সবসময়ই লাইন কানেক্ট করা থাকত, প্রয়োজনের সময় কথা হত দুপাশ থেকেই।সেসময় সেই কথা শুরুর আগে একটা প্রারম্ভিক শব্দের প্রয়োজন ছিল।তখন এডিসন ‘হ্যালো’ শব্দটি বলা শুরু করে ও সাথে রেকর্ড করে। ১৮২৭ সালে এই শব্দটি প্রথম লিপিবদ্ধ হয়েছিল।আর সেই থেকেই হ্যালো-র পথ চলা। যদিও এর কোনোও সঠিক প্রমান নেই তবে সবকিছু বদলে গেলেও এই ‘হ্যালো’ শব্দটি আজও মানুষ ব্যবহার করেন। এর কোনোও বদল হয়নি।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top