উত্তপ্রদেশ – বিয়ের পর কেবল দুই সপ্তাহও কাটেনি, তার মধ্যেই স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে।অভিযোগ, প্রেমিকের সাহায্যে এই খুনের ছক কষেছিলেন তিনি। পরিকল্পনা এতটাই সুপরিকল্পিত ছিল যে, খুনের জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করা হয় এবং তাকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত তিনজনই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরিয়া জেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছর বয়সি দিলীপ যাদবের সঙ্গে জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২২ বছরের প্রগতি যাদবের। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি প্রগতি, কারণ চার বছর ধরে অনুরাগ যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও প্রেমিককে ছাড়তে রাজি হননি তিনি। বিয়ের পর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করাও কঠিন হয়ে পড়েছিল, আর সেই কারণেই দিলীপকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন প্রগতি ও অনুরাগ।
গত বুধবার দিলীপকে একটি জমি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। প্রথমে বিধুনার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গোয়ালিয়র এবং পরে আউরিয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় দিলীপের। দিলীপের ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, আর তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ।
আউরিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ আর শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রগতি ও তার প্রেমিক অনুরাগ একসঙ্গে দিলীপকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং রামাজি চৌধুরী নামে এক ভাড়াটে খুনির সাহায্য নেন। খুনের জন্য তাকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন মোটরসাইকেলে করে দিলীপকে জমির দিকে নিয়ে যায় রামাজি ও তার সঙ্গীরা। সেখানেই প্রথমে মারধর, তারপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রগতি, অনুরাগ এবং রামাজিকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।
