প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব ( Buddhadeb ) গুহ। গত এপ্রিল মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আশঙ্কা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। চলে গেলেন বুদ্ধদেব গুহ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। হাসপাতালে রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।
এপ্রিল যখন তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তখন তিনি ছিলেন এক হোটেল, আইসোলেশনে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘জঙ্গলমহল’। মাধুকারী তাঁর অন্যতম সেরা সৃষ্টি। ‘ঋজুদা’র কথাও সবাই মনে রাখবেন। প্রকৃতি এবং জঙ্গল বার বার ফিরে এসেছে তাঁর লেখায়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ সাহিত্যিক ( Buddhadeb ) । করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় এক মাসের যুদ্ধ জয় করে ফিরেছিলেন বাড়ি। কিন্তু অগাস্টেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। চার চিকিৎসকের একটি দল চিকিৎসা করছিলেন বুদ্ধদেব গুহর।
চিকিৎসক কাজি সামসুজ্জুমান এবং ডা: উজমা নাফিস সাহিত্যিকের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। কোভিড পরবর্তী অসুস্থতাই কাবু করেছিলেন তাঁকে, এমনটাই খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তাঁর। এছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেলিওরও হ্রাস করেছিল তাঁকে। মূত্রথলীতেও দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ। সংক্রমণের ধাক্কায় দূর্বল হন প্রবীণ সাহিত্যিক। বার্ধক্যজনিত অসুখও আশঙ্কা বাড়িয়েছিল।
একাধিক উপন্যাসে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সাহিত্যিক। ১৯৭৭ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন বুদ্ধদেব ( Buddhadeb ) গুহ। পুরাতনী গানে স্বনামধন্য় এই সাহিত্যিক ছিলেন চার্টাড অ্যাকাউন্টেটও। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্যের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গলমহল’।
কিছুদিন আগেই চলে গিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। প্রয়াত হয়েছেন বাচিকশিল্পী গৌরি ঘোষও। এবার ‘মাধুকরী’ রচয়িতা। ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’,’কুমুদিনী’, খেলা যখন এবং ঋজুদা- অরণ্য ও প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা এই মানুষটির রচনা সাহিত্য জগতকে সমৃদ্ধ করেছে।
কিন্তু কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা কেড়ে নিল তাঁকে। ১৯৩৬ সালে ২৯ জুন কলকাতায় জন্ম নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ ৷ পেশাগত জীবনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ছিলেন। ছিল গান নিয়ে গভীর জ্ঞান।