
প্রয়াত হলেন কাশ্মীরের ( Kashmir ) বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবীণ নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। বুধবার রাত ১০টা বেজে ৩৫ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে তার বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর ব্যেস হয়েছিলো ৯১ বছর।
উল্লেখ্য, গিলানি কাশ্মীরের ( Kashmir ) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন এবং পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। প্রথমে তিনি জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীরের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি তেহেরিক-ই-হুরিয়ত প্রতিষ্ঠা করেন।
আর ও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুসারে চলতি মাসেই দুয়ারে রেশন ( Ration ) চালু হচ্ছে
তিনি হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। যে গোষ্ঠী ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ( Kashmir ) বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়ে এসেছিলেন বলেও অভিযোগ। ২০২০ সালের জুন মাসে তিনি হুরিয়ত থেকে বেরিয়ে আসেন। গিলানি ১৯৭২, ১৯৭৭ এবং ১৯৮৭ সালে কাশ্মীরের সোপরে বিধানসভা থেকে বিধায়ক ছিলেন। ১৯২৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে উত্তর কাশ্মীরের সোপরে বারামুল্লায় তার জন্ম হয়। এবং লাহোরে তিনি তার কলেজ পাশ করেন। কাশ্মীরে অস্থিরতার জন্য এক সময় সেখানকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা গিলানিকে দায়ী করেন।
পাশাপাশি ওমরের পিতা ফারুক আবদুল্লাও গিলানির কাছে আর্জি জানান যাতে তিনি এমন রাস্তা অনুসরণ করেন যা কাশ্মীরের শান্তি ফেরাতে সাহায্য করবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিচ্ছিন্নতার পথ থেকে সরে আসেননি গিলানি। এমনকী গিলানির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়। কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার নির্বাচন করতে গেলে তা বয়কটের ডাক দেন গিলানি।
যদিও ২০১৪ সালের নির্বাচন তিনি বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, যদিও সেই নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়ে কাশ্মীরে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পরে ভারত সরকার পাকিস্তান পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নেয়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গিলানির ওপর জরিমানা ধার্য করে এবং তার বিরুদ্ধে অন্যান্য বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়। বহুদিন ধরেই তার পাসপোর্ট বাতিল করে রাখা হয়েছিল এবং দেশদ্রোহিতার নানা অভিযোগ থাকায় তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গৃহবন্দিও ছিলেন।