পূর্ব মেদিনীপুর – দীঘায় আর যত্রতত্র ফেলা যাবে না জঞ্জাল, প্লাস্টিক বা পান-গুটকার পিক। ১ জুন থেকে সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিকমুক্ত হচ্ছে সমুদ্রতট শহর দীঘা। বিশেষত নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির চত্বরে পিক ফেলা কিংবা প্লাস্টিকের কোনও সামগ্রী ব্যবহার করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। মঙ্গলবার ডিএসডিএ কার্যালয়ে এই বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক, হোটেল মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠন ও নুলিয়ারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, দীঘাকে ১০টি জোনে ভাগ করে প্রতি জোনে দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার, এরপর ১ জুন থেকে নিয়ম কার্যকর হবে।
প্রধান নির্দেশাবলি:কোনও দোকান বা হোটেলে রাখা যাবে না প্লাস্টিকের ব্যাগ।পর্যটকদের হাতে দেওয়া হবে বিকল্প ব্যাগ, যাতে ব্যবহৃত কাপ, প্লেট, খাবারের প্যাকেট রাখা যাবে।অটো, টোটো ও বাসে রাখতে হবে আলাদা বর্জ্য ব্যাগ।উড়ানের নিয়মে, বাস গন্তব্যে পৌঁছানোর পর যাত্রীরা সেই ব্যাগ থেকে বর্জ্য ফেলে দেবেন নির্ধারিত ডাস্টবিনে।দীঘা স্টেশন, বাসস্টপ, অটো ও টোটো স্ট্যান্ডে থাকবে সবুজ ও নীল রঙের ডাস্টবিন—পচনশীল ও অচনশীল বর্জ্যের জন্য। সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে মোতায়েন থাকবেন ৪৬ জন গ্রিনগার্ড, যারা সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক বা বর্জ্য তুলে ডাস্টবিনে ফেলবেন।জগন্নাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়ের মধ্যেও লক্ষ্য করা গেছে পিক ফেলার মতো ঘটনা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ জুন থেকে মন্দির চত্বরে এমন কিছু ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী জানান, “দীঘাকে পরিচ্ছন্ন ও প্লাস্টিকমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ। সকলের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়। হোটেল মালিক, দোকানদার, পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের সহযোগিতার জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি।”
