সেক্স নিয়ে মনে কোনও প্রশ্ন থাকলে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি

সেক্স নিয়ে মনে কোনও প্রশ্ন থাকলে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
পড়ুন

সেক্স নিয়ে মনে যদি কোনও প্রশ্ন থাকলে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি। সেক্স নিয়ে মানুষের মনে বহু প্রশ্ন, বহু কৌতূহল ভেসে বেড়ায়। কিন্তু ভরসা করে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না। অনেকেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতার খুঁটিনাটি সমস্যা নিয়ে নানা কৌতূহল বা সংশয়ে ভোগেন। যেহেতু আমাদের দেশে সেক্স নিয়ে এখনও বিস্তর ট্যাবু রয়েছে যে বহু প্রশ্নই ঠিক কাকে জিজ্ঞেস করা উচিত সেটা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। আপনারও যদি তেমন কোনও প্রশ্ন বা সংশয় থেকে থাকে, দেখুন তো তার উত্তর এখানে পান কিনা!

 

পোশাক খুলতেই অস্বস্তি হয় ? 
এটা খুবই কমন একটা প্রশ্ন। নিজের শরীর নিয়ে পুরোপুরি স্বচ্ছন্দ অনেকেই নানা কারণে হতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার পার্টনারের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ হওয়া এবং সেটা শুধু বেডরুমে নয়, বরং বেডরুমের বাইরেও। নিজের কোনও ব্যাপারে আপনি যদি স্বচ্ছন্দ না হন, সেটা নিয়ে সরাসরি পার্টনারের সঙ্গে কথা বলুন। তাতে পার্টনারের সঙ্গে আপনার সম্পর্কও আরও মজবুত হবে, সেক্স জীবনেও নতুন এনার্জি পাবেন।

 

লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা কি ভালো?
ইন্টারকোর্সের সময় ভ্যাজাইনা স্বাভাবিকভাবেই লুব্রিকেটেড হয়। কিন্তু অনেক সময় মানসিক চাপ, ফোরপ্লে-র অভাব অথবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ভ্যাজাইনা শুকনো থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে লুব্রিক্যান্টই হবে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ওয়াটার অথবা সিলিকোন-বেসড লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করুন। অয়েল-বেসড লুব্রিক্যান্ট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো কারণ তাতে ল্যাটেক্স কন্ডোম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া অয়েল-বেসড লুব্রিক্যান্ট যোনির পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় যা থেকে ইনফেকশন হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

 

আর ও  পড়ুন     আপনি যদি পাখির রাজত্বে হারিয়ে যেতে চান, তা হলে চলে আসুন এখানে 

বিছানায় যদি ঠিকঠাক পারফর্ম করতে না পারি?
সেক্স নিয়ে যে সব সংশয়ে সাধারণত মেয়েরা ভোগেন, সেই তালিকার প্রথমদিকেই রয়েছে এই প্রশ্নটি। আসলে যৌনতার সঙ্গে আমরা অনেকরকম প্রত্যাশা জড়িয়ে ফেলি, ফলে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার ভয়টা থেকেই যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমত বুঝতে হবে, সেক্সটা কোনওরকম পারফরম্যান্স নয়, ফলে এই পারফরম্যান্সটা ভালো বা ওটা খারাপ, এরকম কোনও তকমা দেগে দেওয়া যায় না। সেক্স থেকে প্রতিবার আপনি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন, এটুকুই। এর সঙ্গে ভালো বা খারাপের কোনও যোগ নেই। সংশয় কাটিয়ে উঠতে পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাতেও কাজ না হলে কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।

 

আমার শরীরের গঠনটা কি স্বাভাবিক?
কোনও দু’জন মানুষ এক নন, ফলে তাঁদের শারীরিক গঠনের মধ্যে তফাৎ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে আপনার শরীরের গঠন, স্তন বা যোনির আকার বা শেপ যেমনই হোক না কেন, আপনি ইউনিক। আর চিকিত্সকেরা বলেন, স্তন বা যোনির আকার আয়তনের উপর শারীরিক সুখ আদৌ নির্ভর করে না, কাজেই ও সব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সব সময় ভাবুন আপনি স্পেশাল, দেখবেন বাকিটা সহজ হয়ে গেছে!

 

আমার আর আমার পার্টনারের শারীরিক চাহিদা এক নয়। এটা কি স্বাভাবিক?
একশোবার! দু’জন মানুষ আলাদা, কাজেই তাঁদের লিবিডোও আলাদা হওয়াটাই স্বাভাবিক! সত্যি বলতে, দু’জনেরই শারীরিক চাহিদা পরস্পরের সঙ্গে একদম খাপে খাপে মানানসই, এমন সম্পর্ক খুবই বিরল! আপনার সঙ্গী যত ঘন ঘন শারীরিক সম্পর্ক চান, আপনি তা চান না, এমনটা হতেই পারে। অথবা উলটোটাও হতে পারে। এই মিসম্যাচগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলেই সমাধান করা যায় কারণ সেক্সই শুধু একটা সম্পর্কের শেষ কথা নয়। আর প্রয়োজন মনে করলে কাউন্সেলর বা চিকিত্সকের সাহায্য তো নেওয়াই যায়!

 

আমার অর্গ্যাজ়ম হতে সমস্যা হয় কেন?
প্রতিবার শারীরিক সম্পর্কেই যে অর্গ্যাজ়ম হতে হবে তেমন কোনও কথা নেই। সেক্স মানে শুধু পেনিট্রেশন নয়। মাসাজ, ফোরপ্লে, ওরাল সেক্সও অর্গ্যাজ়ম হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিটোরিস স্টিমুলেশন করলে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাড়াহুড়ো না করে সময় নিন। অর্গ্যাজ়মের কথা ভুলে গিয়ে মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন। বাকিটা স্বাভাবিকভাবেই হবে।

 

আমারও কি এসটিডি হতে পারে? 
এসটিডি অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ়। এইচআইভি বা এডস কিন্তু একমাত্র এসটিডি নয়। ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিসের মতো নানাধরনের এসটিডি রয়েছে, যা ছোঁয়াচে। এ সব রোগ থেকে বাঁচতে পার্টনারকে কন্ডোম ব্যবহার করতে বলুন, কারণ কন্ডোমই সবচেয়ে নিরাপদ। ইন্টারকোর্সের পর জল দিয়ে ভ্যাজাইনা ধুয়ে ফেলুন, তাতে ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে বেরিয়ে যাবে। এ ছাড়া প্রচুর জল খান। ইউরিনের সঙ্গেও ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

 

 

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top