পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মাঝে বরখাস্তই হলেন অধ্যাপক তাপস পাল। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মাঝে বরখাস্তই হলেন অধ্যাপক তাপস পাল। তার নিজের স্ত্রী ময়ূরিকা রায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাপস পালকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে বালুরঘাট থানার পুলিশ। মহামান্য আদালত তাকে ৫দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়।শুধু তাই নয়, সোমবার বড়দিনের ছুটির মাঝেই জরুরি বৈঠকে বসে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।
সেই বৈঠকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাপস পালকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার দুপুরে মিটিং শেষে এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ডঃ দুর্লভ সরকার। তিনি জানান, সোমবার ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাপস পালকে নিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরি মিটিং হয়। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট অনুযায়ী ৭৮-২(এ) এবং ৮৪ এফ (২) (এ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অধ্যাপক তাপস পাল ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় পুলিশ বা জেল হেপাজতে থাকায় এগজিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক করে তাকে সাসপেন্ড করে।
ধৃত ব্যক্তি পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পেলে, এগজিকিউটিভ কাউন্সিল ফের বৈঠক করে তাঁকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ধৃত ওই অধ্যাপক ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ বলেও জানালেন তিনি। আগামীকাল ধৃত অধ্যাপককে আবারও আদালতে পেশ করবে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এদিনের বৈঠকে নিবন্ধক ডঃ দুর্লভ সরকার, বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যক্ষ কালীশঙ্কর তেওয়ারি এবং বাংলা ও বোটানির বিভাগীয় প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন – “বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে”- রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন দীপক কুমার রায়, সিএসই চেয়ারম্যান দীপক কর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স স্টাডিজের ডিরেক্টর নন্দিতা ধর ধাওয়ান, এডিপিআই মধুমিতা মান্না, ভাস্বতী দ্বিবেদী সহ অন্যান্যরা। এদিকে এদিন বৈঠক চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনেই বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করে আইন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা অভিযুক্ত অধ্যাপকের চরম শাস্তির দাবিতে তার ছবি ও ব্যানার নিয়ে সরব হন।