পয়লা বৈশাখে আলিপুরদুয়ার শহর পরিদর্শনে দাঁতাল, তুলকালাম কাণ্ড। এ যেন এক্কেবারে শহর পরিদর্শন! জঙ্গলের বুনো দাতাল দাপিয়ে বেড়াল শহরের রাস্তায়। জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া জংশনের রেল কলোনির বিভিন্ন এলাকার পথ ধরে প্রায় এক ঘন্টা হেটে বেড়িয়েছে বিশালাকার দাঁতাল হাতিটি। কোন ক্ষয় ক্ষতি না করেই একেবারে দুলকি চালে শুধু এপাশ ওপাশ চেয়ে রাস্তা হেটেছে সে। খবর পেয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব দমনপুর রেঞ্জের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে হাতিটি তাড়িয়ে ফের জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার কাকভোড়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে মাঝের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাল ডাঙ্গা হয়ে হাতিটি জংশনে ঢুকে পড়ে ।
সেখানে ডি আর এম চৌপথিতে উঠে মংরা চৌপথি, নাথ পাড়া ও ডাঙ্গা পাড়ার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বুনো দাতালটি। সেসময় ঘুম থেকে অনেকেই ওঠে নি। তবে যারা উঠে দেখেছেন ওই বিশালাকার দাতালটিকে তাদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে গেছে। তবে এদিন কোন বাড়ি ঘর কোন কিছুরই কোণ ক্ষতি করে নি দাতালটি। খবর পেয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে হাতিটি তাড়িয়ে জঙ্গলে খেদিয়ে দিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের ডি এফ ডি পারভিন কাশোয়ান বলেন, “ আমাদের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে হাতিটি জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এদিন বুনো দাতালটি লোকালয়ের কোন ক্ষতি করে নি। কোন প্রান হানি বা শস্য হানি ঘটায় নি। এ যেন একেবারে শহরের রাস্তা পরিদর্শনের মতো অবস্থা হয়েছিল।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
শুধু শহরের রাস্তা ধরে হেটেছে হাতিটি। তবে এদিন এলাকার মানুষ জনের ভুমিকাও ছিল খুব ভাল। কেউ হাতিটিকে কোন রকম বিরক্ত করেন নি।” ১লা বৈশাখের দিনে সাত সকালেই গজরাজ এলাকায় ঢুকে যাওয়ায় একেবারে হুলুস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। যারা ঘুম থেকে উঠেই বিশালাকার গজরাজের দেখা পেয়েছেন তারা নিজেদের ধন্য ধন্য করছেন। স্থানিয় বাসিন্দা রতন বর্মন বলেন, “ এদিন ১ লা বৈশাখের দিন। এদিন সকালেই গনেশ বাবা এলাকায় এসেছে। এটা খুব ভাল লক্ষন। সকালে উঠে সাক্ষাত গনেশের দেখা পেয়েছি। সারা বছর আমার খুব ভাল কাটবে। ” পয়লা বৈশাখে