নিজস্ব সংবাদদাতা,দিঘা,৩রা ;ঘূর্ণি ঝড় ফণি এখনও বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে। তবে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া গেল দিঘাতেও। ঝড়ের দাপটে নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পুলিশের অস্থায়ী বুথ। এই মুহূর্তে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই যে সমস্ত পর্যটকরা এখনও দিঘাতে থেকে গিয়েছেন সমূদ্রের উত্তাল পরিস্থিতি চাক্ষুষ করার জন্য তাঁদের হোটেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সকালের দিক থেকে দিঘা সমূদ্র বেশ ফুলে উঠেছে। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টিপাতও চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। খালি করে দেওয়া হচ্ছে দিঘার সমূদ্র সৈকত। ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এই মুহূর্তে উড়িষ্যার পুরী থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুটি। তবে তার মধ্যেই চূড়ান্ত আবহাওয়ার অবনতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকায়। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া।
স্থানীয় উপকূলীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গভীর রাতে প্রায় ১টা থেকে ২টো নাগাদ ফণীর প্রভাবে দিঘা-মন্দারমনি-তাজপুর জুড়ে ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ৬০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টায় ছিল। সময় যতই এগোচ্ছে ততই ঝড়ের গতিবেগ বাড়ছে। সকালে দিঘার আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে। বেলা ১২টার আগেই উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশে কোথাও আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন প্রায় ৭১ হাজার পরিবারকে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
গতকালই থেকেই উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটকদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পাশের রাজ্য উড়িষ্যার সমস্ত রকম উড়ান বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাতিল হয়েছে শতাধিক ট্রেনও।
এই মুহূর্তে দিঘার সমূদ্র সৈকত এলাকা শুনশান। ব্যাপক ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হুংকার দিচ্ছে, ফণী আসছে শীঘ্রই। এই সময় দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজন কাউকেই বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।