দক্ষিন দিনাজপুর জেলার ফরেস্ট সংলগ্ন পিকনিক স্পটে বনভোজন বন্ধ রাখার নোটিশ। করোনাকালে ভোট, প্রতিযোগীতামুলক খেলা থেকে রাজনৈতিক মিটিং মিছিল, সরকারি – বেসরকারি নানান অনুষ্ঠান অবাধে চলছে। অথচ শীতকাল মানেই পিকনিকের সময়।কিন্তু কোভীডের সতর্কতা মেনে গতবছরের মত এবারও দক্ষিন দিনাজপুর জেলার ফরেস্ট সংলগ্ন পিকনিক স্পটে বনভোজন বন্ধ রাখার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে বন দফতর।যার ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বনভোজন প্রেমী জনমানসে। তবে ফরেস্টে বনভোজন বন্ধ হওয়ায় খুশি জেলার পরিবেশপ্রেমীরা।
২৫ ডিসেম্বর আসতে না আসতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বাইরের জেলা থেকেও বালুরঘাট ফরেস্ট, শরনবাড়ি ফরেস্ট, দো-গাছি ফরেস্ট -সহ বিভিন্ন বনাঞ্চল ঘেরা পিকনিক স্পটে মানুষজন ছুটে আসেন পিকনিকের জন্য ৷ পিকনিকের আসর শেষ করার পর খাবার, প্ল্যাস্টিকের বোতল, প্যাকেট, থার্মকলের থালা, গ্লাস, বাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে এলাকাটিকে রীতিমতো দূষিত করে তোলেন তাঁরা ৷
বন্য পশুপাখি ও বনাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার্থে এসব বর্জ্য পদার্থ সরিয়ে ফেলার কেউ চেষ্টা করে না। যার ফলে এগুলো দিনের পর দিন পরে থেকে পরিবেশ দুষিত হয়ে আসছিল। যার ফলে পিকনিক বন্ধ হওয়ায় এক দিক দিয়ে যেমন খুশি পরিবেশ প্রেমীরা। কিন্তু অন্যদিকে পিকনিক বন্ধ রাখায় ক্ষুদ্ধ পিকনিক প্রিয় মানুষজন। তাদের অভিযোগ গত বছর কোভীড কারনে সতর্কতা মেনে না হয় বনভোজনে নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল।
আর ও পড়ুন অযোধ্যা পাহাড়ে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ট পর্যটকরা !
কিন্তু এই নিউ নর্মালে যেখানে ভোট, খেলাধুলো, মিটিং মিছিল থেকে সরকারি বেসরকারি নানান অনুষ্ঠান চলছে। সেখানে বছরে একবার আসা এই পিকনিক মরসুমে বনাঞ্চলের পিকনিক স্পটে পিকনিক বন্ধ রাখার কি মানে তা কিছু বুঝে উঠতে আমরা পারছি না।
তাদের ক্ষোভ তবুও যদি বুঝতে পারতাম আমাদের এই জেলায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে কোন বিকল্প পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে জেলার মানুষের এই চাহিদা মেটানোর জন্য। তাও নয়, তাহলে সারা বছর ঘরবন্দি মানুষজন এই শীতের আমেজে নিজেদের আমোদ প্রমোদ করবে কোন খানে। এ কথা বনদফতর বা প্রশাসনের একবার ভেবে দেখা উচিত বলে তাদের দাবি।