হাওড়ায় সাঁত্রাগাছি বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করলেন ফিরহাদ হাকিম, কেন? “ফ্লাইওভার চালু হয়ে গেলে হাওড়া সাঁত্রাগাছির বাস টার্মিনাস পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। তখন কলকাতার বেশিরভাগ বাস এখানে এসে যাবে। যতদিন না চালু হচ্ছে ততদিন আমরা এখান থেকে পাইলট প্রোজেক্টে কিছু বাস চালু করব। প
রে ইন্টার-স্টেট বাসগুলো এখান থেকে চালাব। আশা করছি এই অর্থবছরের মধ্যেই ফ্লাইওভারের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ থেকে পুরোপুরিভাবে সাঁত্রাগাছি বাস টার্মিনাসটিকে চালু করব।” বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ায় সাঁত্রাগাছি বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করতে এসে একথা জানান রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হলেও এখনও চালু করা যায়নি হাওড়ার সাঁত্রাগাছি বাসস্ট্যান্ড। কলকাতার দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডটিকে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে সাঁত্রাগাছিতে নতুন করে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হলেও কিছু সমস্যার কারণে এতদিন তা ব্যবহার করা যায়নি। সেই সমস্যা কাটিয়ে কিভাবে এই বাসস্ট্যান্ডটিকে ব্যবহার করা যায় তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁত্রাগাছি বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী।
আর ও পড়ুন সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে এবার কী তৈরি হতে চলেছে ? জেনে নিন
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কয়েকটি বাস রুট চালু করে দেওয়া হবে। এই বাসস্ট্যন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের ফ্লাইওভার তৈরি হয়ে গেলে পুরোদমে বাসস্ট্যান্ড চালু করে দেওয়া হবে। আগামী বাংলা নববর্ষের দিনেই এই আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাসটি চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যেহেতু বাস টার্মিনাল চালু হলে এখানে যানজট হবে তাই পরিবহন দফতর এইচআরবিসি-কে দিয়ে একটা ফ্লাইওভার করছে। মাঝখানে অর্থের সমস্যার কারণে সেই কাজ কিছুটা বন্ধ ছিল। সেই কাজটা দ্রুত আবার চালু করছি। ফ্লাইওভার চালু হয়ে গেলে এই বাস টার্মিনালটা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। তখন কলকাতার বেশিরভাগ বাস এখানে এসে যাবে।
যতদিন না চালু হচ্ছে ততদিন আমরা এখান থেকে পাইলট প্রোজেক্টে কিছু বাস চালু করব। পরে ইন্টার স্টেট বাসগুলো এখান থেকে চালাব। আশা করছি এই অর্থবছরের মধ্যেই ফ্লাইওভারের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ থেকে পুরোপুরিভাবে এই বাস টার্মিনালটিকে চালু করব। কিছু জল জমার সমস্যা আছে। তারজন্য হাওড়া পুরনিগম, সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করছি। একটা নয়ানজুলি কাটতে হবে। সেই কাজটাও শীতের মধ্যে শেষ করে দিতে পারব।
আগামী বছর থেকে আর কোনও সমস্যা হবেনা। এটা কেএমডিএ এর জমিতে ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট এখানে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করেছিল। এই রাস্তাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা ফ্লাইওভার করছি। সাঁত্রাগাছি ব্রিজ নিয়ে রেলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। রেল হয়তো এই সাঁত্রাগাছি ব্রিজ নিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে।”
অন্যদিকে, আরজিকরে বিজেপি নেতার চড় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যে যেমন সে তেমন। আপনার ব্যবহার আপনার পরিচয়। অর্থাৎ যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসত তাহলে কত অফিসার চড় খেত। কত অফিসার গালাগালি খেত। ভাগ্যিস আসেনি। আরজিকরে চড় খেতে হয়েছে একটা নেতাকে দিয়ে। বিজেপি পার্টির প্রধান সেটাকে সমর্থন করছেন। মানুষ বুঝতে পারছে বাংলা কাদের হাত থেকে বেঁচেছে।”
ভবানীপুরের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিপক্ষে কেউ দাঁড়াতে চাইছেন না, এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ভবানীপুরের ফল সবাই জানে। সেখানকার মানুষ উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন ৩০ তারিখ কখন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দেবেন। সুতরাং যিনি ওনার বিপক্ষে দাঁড়াবেন তিনিও নিজেকে হাস্যস্পদ করতে চান না।”
ত্রিপুরায় হিংসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যারা এখানকার হিংসার কথা বলেন তাঁরা ত্রিপুরার ব্যাপারে নীরব কেন ? এখন কেন আমাদের রাজ্যপাল ত্রিপুরার ব্যাপারে চিৎকার করছেন না ? সবচেয়ে আশ্চর্যের ঘটনা প্রতিবাদী রাজ্যপাল এনিয়ে প্রতিবাদ করছেন না।”