ফিল্মি কায়দায় সাইবার প্রতারণা, প্রতারক চক্র বাঁকুড়া পুলিশের জালে

ফিল্মি কায়দায় সাইবার প্রতারণা, প্রতারক চক্র বাঁকুড়া পুলিশের জালে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ফিল্মি কায়দায় সাইবার প্রতারণা, প্রতারক চক্র বাঁকুড়া পুলিশের জালে। গত জুলাই মাসে বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানায় রাহুল বটব্যাল নামে জনৈক এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পত্রে তিনি লেখেন কেউ বা কারা এয়ারটেল এবং জিও টাওয়ার বসানোর নাম করে ১৬ লক্ষ টাকা তার সাথে প্রতারণা করেছেন।

 

সেই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ, জয়পুর থানায় একটি কেস রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর গত জুলাই মাসে সাত জনের একটি প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সেই সাত জনের সূত্র ধরে পুলিশ আরও তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে হাওড়ার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত দেবাশীষ পাল নামক এক ব্যক্তি জয়পুরের রাহুল বটব্যালের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নিয়েছেন।

 

ওই দেবাশীষ পাল প্রত্যেক মাসে দু’টো তিনটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতো এবং বিভিন্ন সিম কার্ড নিজের নামে ইস্যু করে কল সেন্টারের কুরিয়ারের মাধ্যমে দমদমে পাঠিয়ে দিতো। সেখান থেকেই চলত তাদের জালিয়াতি চক্রের কারবার। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ওত পেতে ছিল। তারা একজন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে কুরিয়্যর বয় সাজিয়ে এক মহিলার হাতে নথিগুলি তুলে দেয়। সেই মহিলাকে ফলো করে দমদমের মসজিদ গলি বলে একটা জায়গায় কল সেন্টারটি পায়। সেই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন – সোনামুখী পৌরসভার এক স্থায়ী কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য

শনিবার, বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফ থেকে ডিএসপি (ডি এন্ড ডি) সুপ্রকাশ দাস একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, আটক অভিযুক্তদের কাছ থেকে অনেক মোবাইল, সিম কার্ড, ল্যান্ডফোন এবং কল সেন্টার থেকে কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার, তাদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে পেশ করবে পুলিশ বলে জানান তিনি। কে এর মাস্টারমাইন্ড আরও কে কে জড়িত রয়েছে এই প্রতারণা চক্রে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফিল্মি কায়দায়

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top