ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জাঁকজমক আলো আঁধারের প্রতি কিঞ্চিত আলোকপাত . কটা সিনেমা হয় টলিউড তথা টালিগঞ্জ ! বছরে একটি বা দুটি। তাহলে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কি দরকার। যদিও এতে একটা লাভ হয়। মুম্বইয়ের হিন্দি ফিল্মের প্রিয় ভক্তেরা তাদের স্বপ্নের নায়ক নায়িকাদের চাক্ষুষ করতে পারেন। অমিতাভ বচ্চন জয়া বচ্চন শাহরুখ খানের মত হেভিওয়েটরা আসেন। বক্তব্য রাখেন। বাংলার ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বানারজীর প্রশংসা করেন চলে যান।
মিডিয়ার জোর প্রচার চলে সাত দিন ধরে। সাধারণ মানুষ সেই টিকিট পান না। সব সাংবাদিকও সেই টিকিট পাননা। কোথায় যায় তা নিশ্চিত বলা শক্ত। বলা যাবেনা এই উদ্যোগপুরোপুরি বার্থ। যথেষ্ট আনন্দ দেয় এই ফেস্টিভ্যালের গত দুবছর কোন ফেস্টিভ্যাল। গত দুবছর আয়োজন করা যায়নি এই ফেস্টিভ্যালের। কভিড ২০১৯-এর জন্যে এই মুম্বই ও কলকাতার ফিল্মী বন্ধন ও যোগাযোগ করা যায় নি। তাই এবার উৎসাহ একটু বেশী হবার কথা। তা কিন্ত হয়নি। মানুষের মনে কোথাও যেন কিছুটা ছন্দনতন ঘটে গেছে।
আরও পড়ুন – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার মেলা
নিজেদের নিয়ে মানুষ ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই সংস্কৃতির পীঠস্থান সেই বাংলা এখন অনেকটাই অনুপস্থিত। তবুও শাহরুখ খান এলে আমাদের বুক চওড়া হয়।কেননা তিনি আমাদের ব্রান্ড আম্বাসেডার। তার নামের সঙ্গে আজ বাংলা জুড়ে গেছে। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে শাহরুখ না হলে বাংলার পরিচিতি অধরা থাকত। উত্তম সুচিত্রার রাজ্যে উত্তম সুচিত্রা সৌমিত্র সুপ্রিয়া অপর্ণা সেনদের জনপ্রিয়তার টপকে শাহরুখ অমিতাভ জয়া শত্রুঘ্ন সিংরা পুরোটাই দখল করে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে তারা যে আসেন সময় দেন তা কিন্ত খাটো করে দেখলে চলবে না। রানী মুখার্জ এখন রানী চোপড়া হয়েছেন তবুও বাংলার ডাকে মমতার ডাকে ছুটে এসেছেন সেটা কম কিছু নয়। বরং বড় কিছুই। বলা যায় নন্দনে চলা এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জাঁকজমক আঁধারে আলো ফেলল। একটানা বিরোধীদের অভিযোগ আর অভিযোগ কানে তালা লাগিয়ে মুখটাকে বিস্বাদ বানিয়ে দিয়েছে। ফেস্টিভ্যাল একটু মূখ বদল। মুম্বইয়ের বিখ্যাত শিল্পীরা যখন মমতার জনপ্রিয়তা মমতার কাজ কর্ম নিয়ে প্রশংসা করেন একজন বাঙালি হয়ে বাংলার বাসিন্দা হয়ে আনন্দ অনুভব করি বৈকি। মূঢ় মুখে অকিঞ্চিত বক্তব্যের জন্য দুঃখিত।