কলকাতা – ফেডারেশন ও মামলাকারী ১৩ পরিচালকের মধ্যে চলা আইনি দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কলকাতা হাই কোর্ট আগেই নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহা উভয় পক্ষকেই সম্ভাব্য সদস্যদের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার মামলাকারী পরিচালকেরা তাঁদের প্রস্তাবিত তালিকা জমা দেন, আর সোমবার ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য সদস্য তালিকা প্রকাশ্যে আসে। উভয় তালিকা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত কমিটির সদস্য নির্বাচন করবেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু।
ফেডারেশনের প্রস্তাবিত তালিকায় টলিউডের শীর্ষ অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজকদের নাম রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেব, জিৎ, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রাহুল মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, নিসপাল সিং রানে, পাভেল এবং রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুন্ডু।
অন্যদিকে, মামলাকারী পরিচালক সংগঠনের সম্ভাব্য তালিকায় টলিউডের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নামী ব্যক্তিত্বদের। তাঁদের তালিকায় রয়েছেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়, কঙ্কনা সেনশর্মা, আদিল হুসেইন, হনসল মেহেতা ও নন্দিতা দাস। এমনকি সম্ভাব্য সদস্য হিসেবে ‘সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট’ (এসআরএফটিআই)-এর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই তালিকা প্রকাশের পর টলিউডের অন্দরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কলকাতার পরিচালকদের প্রাধান্য কি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে? পাশাপাশি এসআরএফটিআই-এর সদস্যপদ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে—একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে কমিটির সদস্য হতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আরও একটি বড় প্রশ্ন, মুম্বই থেকে যাঁরা কলকাতায় যাতায়াত করবেন, তাঁদের খরচ বহন করবে কে?
এখন নজর চূড়ান্ত তালিকার দিকে। উভয় পক্ষের প্রস্তাবিত নামগুলির মধ্যে থেকে কারা নতুন কমিটির সদস্য হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। উল্লেখযোগ্যভাবে, ফেডারেশন বনাম ডিরেক্টর্স গিল্ড মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় কলকাতা হাই কোর্টও।
