নদিয়া – নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ‘ফেনসিডিল’ বাজেয়াপ্তকে ঘিরে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার চাপড়া এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং রাজ্য পুলিশ। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানার সীমানগর এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি গাড়ি থেকে কয়েকটি প্যাকেট নামানো হচ্ছিল। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁরা প্যাকেট খুলে দেখেন তাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ‘ফেনসিডিল’। সঙ্গে সঙ্গেই খবর যায় চাপড়া থানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। তারা বাজেয়াপ্ত সিরাপগুলি থানার গাড়িতে তুলতে গেলে হঠাৎই সেখানে হাজির হয় সীমানগর ৩২ ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ দাবি করে, ওই ফেনসিডিলের চালান তাদের হেফাজতে দিতে হবে, কারণ তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে তথ্য পেয়েছিল। কিন্তু আইন অনুযায়ী পুলিশ তা হস্তান্তরে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় তীব্র বচসা, যা অল্প সময়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরও পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা। আহত তিন পুলিশকর্মীকে দ্রুত চাপড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পুলিশ এক বিএসএফ কর্মীকে আটক করে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা ও কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার শীর্ষ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিএসএফের দাবি, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা অভিযান চালিয়েছিল, কারণ সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল পাচার হচ্ছিল। অপরদিকে, পুলিশের দাবি, আইনি প্রক্রিয়া মেনে তারা বাজেয়াপ্ত করেছিল নিষিদ্ধ সিরাপগুলি, কিন্তু বিএসএফ বেআইনিভাবে সেগুলি নিজেদের দখলে নিতে চেয়েছিল।
এখনও পর্যন্ত বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি বা কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি কেউই সরকারি মন্তব্য করেননি। তবে এই সংঘর্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।



















