রাজ্য – কয়েকদিনের বিরতির পর পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় ফের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে শিরশিরে ঠান্ডা থাকলেও মধ্য নভেম্বরে তাপমাত্রা বেড়ে স্বাভাবিকের ওপরে উঠে গিয়েছিল। অবশেষে সেই পরিস্থিতি বদলে রবিবারের ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৬.৪ ডিগ্রিতে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বরের শেষেই তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির ঘরে নামায় ফের শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে শহরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা এইভাবেই থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবারের পর থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঝড়-বৃষ্টি বা আবহাওয়ার অবনতির কোনও আশঙ্কা নেই বলেই নিশ্চিত করেছে হাওয়া অফিস।
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়ার প্রবাহেই ফের শীত অনুভব করছে বাংলা। চলতি মরশুমে কলকাতায় এবারই প্রথম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কাছে নেমেছে। শ্রীনিকেতন ও কল্যাণীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে একই স্তরে। মৌসুম ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগর শান্ত হলে ঠান্ডা হাওয়া প্রবেশ করবে, আর তখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে।
এদিকে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে শ্রীলঙ্কার কাছে নতুন নিম্নচাপও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব বাংলায় পড়বে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্যে আবহাওয়ার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মালাক্কা প্রণালীর কাছে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, যার প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু থেকে উড়িষ্যা উপকূলের যে কোনও অংশে ল্যান্ডফল করতে পারে বলেও অনুমান।



















