মালদা -এবারের ঘটনাস্থল মালদহের মোথাবাড়ি। সোমবার নাকা চেকিংয়ে পুলিশ মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স যুক্ত গাড়িতে ঘুরছে বলে অভিযোগ করে জনা কয়েক যুবক। পুলিশের এই অভিযান লাইভ ভিডিও শুরু করেন একজন। পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে খবর।
নিজেদের দোষ ঢাকতে ওই যুবকরা পালটা অভিযোগ তোলেন, পুলিশ তাঁদের গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। এনিয়ে দুপক্ষের বচসা শুরু হয় এবং তার মাঝে পড়ে মোথাবাড়ি থানার এএসআই রেজাউল করিম আক্রান্ত হন।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে? জানা যাচ্ছে, প্রতিদিনের মতো সোমবারও মালদহের মোথাবাড়ি এলাকার গীতা মোড়ের কাছে নাকা চেকিং করছিল পুলিশ। সেসময় একজন পুলিশের এই তল্লাশি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও করতে শুরু করেন। এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে বাধা দেন। তা নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। ওই যুবক এবং তাঁর সঙ্গীসাথীরা অভিযোগ তোলেন, পুলিশ যে গাড়িতে নাকা চেকিং করছে, তার ইনস্যুরেন্স থেকে সমস্ত আইনি বৈধতাই নেই। আইন ভাঙছে আইনরক্ষকরাই! অথচ এমন কোনও গাড়ি রাস্তায় দেখলে পুলিশই তা থামিয়ে টাকা আদায় করে। এসব অভিযোগ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মোথাবাড়ি থানার আইসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আশপাশে জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে খেপে যান। শুরু হয় হাতাহাতি। এর মাঝেই উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত হন মোথাবাড়ি থানার এএসআই রেজাউল করিম। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক যুবক পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাইভ ভিডিও করতে শুরু করে। তাঁর দাবি, পুলিশ যে গাড়ি চড়ে নাকা চেকিং করছে, সেই গাড়ির ইন্সুরেন্স-সহ সমস্ত কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ, অথচ পুলিশ অবৈধভাবে স্থানীয়দের গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তুলছে। তাতেই কয়েকজন সিভিক পুলিশ বাধা দেন। তাতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণ নিয়ে মালদহ কলেজ অডিটরিয়ামে তৃণমূল এক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুলিশ যদি কোনও অন্যায় করে তাহলে কেবলমাত্র অঞ্চল সভাপতি নন, পুরো অঞ্চল কমিটি থানায় যাবেন। থানা ঘেরাও করবেন। এরপর মোথাবাড়ির ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মন্ত্রীর এই উসকানিমূলক কথাতেই কি নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার সাহস পাচ্ছে সাধারণ মানুষ?
