নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,৪ঠা জুলাই : ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বীরভূম, লাভপুরের দ্বারকায় পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ উড়ে গেল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদ ,পাশেই রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প।
এক সপ্তাহের মধ্যেই বীরভূমের ফের এক জায়গায় বিস্ফোরণ। এবারও বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে ভেঙে পড়েছে একটি পাকা বাড়ির বেশিরভাগ অংশ। গত রবিবার আমরা এমনই বিস্ফোরণের ছবি দেখেছি বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত মেঘদুত ক্লাবে। যেখানেও বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে ক্লাবের কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে পড়েছিল। আর আজও একই ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে লাভপুর থানার অন্তর্গত মিরবাঁধ গ্রামে।
আজ ভোররাতে তিনটে নাগাদ এমন বিস্ফোরণ ঘটে মিরবাঁধ গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত হাসপাতালের কোয়ার্টারে। বিস্ফোরণে ভেঙে গিয়েছে পুরো পাকা বাড়িটি। ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ ছিল বলেই মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মিহির জাহান শেখ জানান, “ভোররাতে আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। বেরিয়ে এসে দেখি বিস্ফোরণ। চারিদিক ধোঁয়াতে ভরে গেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই জোরালো ছিল যে, আমার বাড়ি পাখা পর্যন্ত খুলে পড়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে আমার ঘরের চালের।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই জায়গাটি লাভপুরের বর্তমান গ্রামীণ হাসপাতালের থেকে একটু দুরেই। বিস্ফোরণে ভেঙে পড়া বাড়িটি আগে ছিল হাসপাতালের কোয়ার্টার। আর এই পরিত্যক্ত বাড়ির সুযোগকে কেউবা কারা এত পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত রেখেছিলেন বলে স্থানীয়দের মত।
যদিও এখনও পর্যন্ত কি থেকে এত তীব্র বিস্ফোরণ সে সম্পর্কে কোন কিছু জানা যায়নি। আগে থেকেই কি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ ছিল ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে, নাকি অন্য কিছু! সেসব ঘটনার তদন্তে নেমেছে লাভপুর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মীরবাঁধ এবং পার্শ্ববর্তী দরবারপুর গ্রামে গত চার বছর আগে ব্যাপক বোমাবাজি প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯ জন ব্যক্তি। সে সময় বালিঘাটকে কেন্দ্র করে হয়েছিল সংঘর্ষ। তারপর থেকে এলাকায় ব্যাপক পুলিশি নজর রাখা হয়। এমনকি বিস্ফোরণস্থলের সামান্য দূরেই রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। তারপরেও আজকের এই বিস্ফোরণ! এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।