ফের সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল বাংলা। আবার বাংলাকে গর্বিত করল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হল বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেইমতো ২৩ জুলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। তারপর ২০২১-এর সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে বাংলার মায়েদের অ্যাকাউন্টে অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দেওয়া হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাতে টুইট করে জানান, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ পুরস্কার পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। মমতা তার টুইট বার্তায় লেখেন “আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। নারীর ক্ষমতায়ন সবসময়ই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র সরকারের নয়, রাজ্যের ১ কোটি ৮০ লক্ষ ক্ষমতাশালী মহিলারও” ।
উল্লেখ্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিমতো চার মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। তারপর মাত্র এক বছরের মধ্যে যে তা সেরা প্রকল্পের অ্যাওয়ার্ড পাবে, তা এক কথায় মাইলস্টোন ই বলা চলে। প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পিছনে সরকারের খরচ হয় আনুমানিক ১০৯০ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পের আওতায় তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য এক হাজার ও অন্যান্য নারীর ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে উপভোক্তাদের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এরপরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর ও হুগলি জেলা। অন্যান্য জেলাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। সমস্ত জেলাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রতি আগ্রহ দেখা গিয়েছে। আবারও আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার। এটি ২০২১ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার। এই দুয়ারে সরকার শিবির চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন – ছটপূজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক প্রশাসন
এবার এই শিবির থেকে আরও নতুন দুটি পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির পাট্টা প্রদান ছাড়াও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অধীনে থাকা গ্রাহকরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন ও পুরনো বকেয়া মেটাতে পারবেন।
সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, ২০১৮ মার্চ পর্যন্ত কৃষি এবং গৃহস্থ বিদ্যুৎ সংযোগের উপভোক্তারা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। অর্থাৎ বকেয়া থাকলে দুয়ারে সরকার এ এককালীন বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় মিলবে।
অন্যদিকে কোনো ভূমিহীন সরকারি জমিতে বসবাস করলে তিনিও পাট্টা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানা গেছে। এইবার দুয়ারে সরকার শিবির থেকে রাজ্যবাসী মোট সাতাশটি পরিষেবার সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।