ফোনে ট্রু-কলার রয়েছে? জানেন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সমস্ত সেভ নম্বর!

ফোনে ট্রু-কলার রয়েছে? জানেন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সমস্ত সেভ নম্বর!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সুরক্ষা ও নিরাপত্তার খাতিরে, বহু স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোনে ট্রু-কলার অ্যাপটি ইনস্টল করেন৷ ফলে কোনও অজানা নম্বর থেকে ফোন এলে, সহজেই সেই কলার সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়৷ এবং প্রয়োজনে ওই নম্বরটিকে ব্লক করে, সেখান থেকে ফোন আসাও বন্ধ করা যায়৷ কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে ট্রু-কলারকে নিরাপত্তার খাতিরে ফোনে রাখছেন, সেই অ্যাপেই লুকিয়ে রয়েছে আতঙ্কের বীজ৷ আরও স্পষ্ট করে বললে, ভরসা করে যে অ্যাপটি ডাউনলোড করছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা, সেই অ্যাপই লক্ষ লক্ষ লাখ টাকায় বেচে দিচ্ছে উপভোক্তাদের ফোনে সেভ থাকা নম্বর।

সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস৷ যাতে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে ট্রু-কলার ব্যবহারকারীদের মধ্যে৷ একটি প্রতিবেদনে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, বিশ্বের ১৪ কোটি ট্রু-কলার ব্যবহারকারীর ফোনে সেভ করা নম্বর চড়া দরে বিক্রি করছে সংস্থাটি৷ তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভারতীয় রয়েছেন। যাঁদের ফোনে সেভ থাকা নম্বর প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বিদেশী সংস্থায়। যদিও এই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ট্রু-কলার। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীদের কোনও তথ্য ফাঁস হয়নি৷ পুরোটাই গুজব৷ সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্টগুলির অপব্যবহার করছে। তবে একথা নিশ্চিত যে, কোনও ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়নি।’

অনলাইনে তথ্য হ্যাক হওয়া নিয়ে এমনিতেই বেজায় চাপে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। একদিকে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ড অন্যদিকে, মার্কিন নির্বাচনকে রাশিয়ান সরকারের প্রভাবিত করার অভিযোগ। এই দুই ঘটনার পর ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ব্যবহারকারীরা। এই দুই ঘটনার পর অবশ্য নতুন করে তাদের তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে দাবি করে ফেসবুক। যদিও, সে দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত বছরের এপ্রিল মাসেও অভিযোগ ওঠে, ব্রিটেনের ডেটা মাইনিং সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করেছে। তার পরে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যায়, যখন কানাডার ২৮ বছর বয়সি যুবক ক্রিস্টোফার ওয়াইলি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য পাচার সংক্রান্ত খবরটি জানান। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন ফেসবুক-কর্তা। নামীদামি সংবাদপত্রে ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেন সংস্থা। আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষমাও চাইতে হয় ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্গকে৷

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top