দিল্লী -পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার সময় ফের সত্যি প্রমাণ হল এই প্রবাদ। কেরল থেকে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলেন একই পরিবারের ১১ জন। হামলার দিনেই তাঁদেরও বৈসরণ উপত্যকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। বেরিয়েও পড়েছিলেন। পথে এক হোটেলে ফ্রায়েড রাইস খেতে নামেন সকলে। কিন্তু, খাবারে যে বড্ড বেশি নুন!সেই কারণে ফের অর্ডার করেন অ্যালিবি জর্জ ও তাঁর স্ত্রী লাবণ্য। তাতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া সেরে গন্তব্যের দিকে এগতেই তাঁরা জানতে পারেন, জঙ্গি হামলা হয়েছে। লাবণ্য বলেন, ‘আমরা বৈসরণ থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে ছিলাম। দেখলাম, ঘোড়ার পিঠে চড়ে অনেকে ফিরে আসছেন। মানুষজন আতঙ্কিত, চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন। খাবারের হোটেলে দেরি না হলেও জঙ্গি হামলার সময় আমরা ওখানেই থাকতাম। ঈশ্বর বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’শেষ মুহূর্তে প্ল্যান বদলে ফেলায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন নাগপুরের ছ’জনের পরিবারও। ওই পরিবারের সদস্য স্বাতী কোলকার বলছিলেন, ‘গুলমার্গে গন্ডোলা রাইড বাতিল হয়ে যাওয়ায় আমরা বৈসরণ যাওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিই। তার জেরেই বুলেটবিদ্ধ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি।’
অন্যান্যদের মতো ‘মিনি সুইজারল্যান্ডে’ বেড়াতে এসেছিলেন জয়পুরের নবদম্পতি। মাস দু’য়েক আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। ঘটনার সময় ওই বৈসরণেই ছিলেন কোমল ও মিহির সোনি। কোমল বলেন, ‘ম্যাগির বাটি হাতে মজা করছিলাম। ফাঁকে ফাঁকে সেলফিও তুলছিলাম। হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। দেখলাম, একজন মাটিতে পড়ে গেল। তারপর আরও একজন। বিপদ বুঝেই দৌড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। পালিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই।’
