বইমেলা ও ফুল প্রদর্শনীর আগে প্যান্ডেলের কাজ খতিয়ে দেখলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। দিনহাটা সংহতি ময়দানে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে কোচবিহার জেলা বইমেলা।তার আগে দিনহাটা দুই ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সাহেবগঞ্জে বইমেলা ও ফুল প্রদর্শনীর আগে প্যান্ডেলের কাজ খতিয়ে দেখলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। আগামী ২৭শে ডিসেম্বর থেকে কোচবিহার জেলা বইমেলা শুরু হচ্ছে দিনহাটায়। জেলা বইমেলার এক সপ্তাহ আগে দুদিন ব্যাপী বইমেলা ও ফুল প্রদর্শনী হবে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর। সাহেবগঞ্জে ফুটবল খেলার মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্যান্ডেলের কাজ। পরিদর্শনে গিয়ে দিনহাটা দুই নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রশ্মিদীপ্ত বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্র বর্মণ, সাহেবগঞ্জ থানার ওসি এন্টনি হোড় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ব্লক স্তরে এই মেলাকে সুন্দর করে তুলতে সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্লক প্রশাসনও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে শুরু করে আধিকারিকরা।
দিনহাটা দুই নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৬ থেকে ১৭ ডিসেম্বর দুদিন ব্যাপী বইমেলা ও পুষ্প প্রদর্শনী হতে চলেছে। ব্লক স্তরে বইমেলা ও ফুল মেলার আগে দিনহাটা সংহতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে জেলা বইমেলা। ২৭ ডিসেম্বর থেকে এই বইমেলা শুরু হবে। সাতদিনব্যাপী এই বই মেলা চলবে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। জেলা বইমেলার আগে ব্লক স্তরের বইমেলা ও ফুল মেলা কে সফল করে তুলতে প্রশাসনের আধিকারিকরা মাঠের কাজ খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সাহেবগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এই মেলা কে সফল করে তুলতে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও জোড় প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে দিনহাটার সংহতি ময়দানে কোচবিহার জেলা বইমেলাকে সফল করে তুলতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে সভায় মন্ত্রী উদয়ন গুহ উল্লেখ করেন, দিনহাটায় বইমেলা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর আগে প্রায় প্রতিবছর জেলা বইমেলা কোচবিহার শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছর মহকুমা শহর দিনহাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত বছর কোচবিহার শহরে অনুষ্ঠিত বইমেলায় যত টাকার বই বিক্রি হয়েছে তার চেয়েও বেশি টাকার বই বিক্রি যাতে হয় তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দিনহাটা কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বই কেনার জন্য এ দিন সভায় মন্ত্রী আহ্বান জানান। পাশাপাশি ক্লাবগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন,” যে সব ক্লাব রাজ্য সরকারের অনুদান পেয়ে আসছে তাদের অবশ্যই এই বইমেলায় বই কিনতে হবে।বইমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কিছু সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।