বকেয়া না দিলে দিল্লিতে মেগা ধরনা—হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বকেয়া না দিলে দিল্লিতে মেগা ধরনা—হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


রাজ্য – তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলার বকেয়া না দিলে ফের দিল্লিতে বড় বিপুল আন্দোলন-ধরনা হবে। তিনি দাবি করেছেন, একশো দিনের কাজ সহ বাংলা রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা এক লাখ কোটিরও বেশি। বারবার তৃণমূলের কাছে হেরে যাওয়ার পরও প্রতিহিংসামূলক আচরণে কেন্দ্র তৎপরভাবে বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে—এই অভিযোগই তাঁর বক্তব্যের মূল।

অভিষেক বলেন, পূর্বে কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত তৃণমূল আন্দোলন-ধরনা করেছে, কিন্তু বকেয়া পাননি। এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিনেই বাংলার পাওনা আদায়ে দিল্লির বুকে বৃহৎ রকমের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। তাঁর ভাষায়, তৃণমূল কখনোই “বহিরাগত জমিদার” বিজেপির কাছে মাথা নত করবে না।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি সরকারের কাছে স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছে—বঙ্গের বকেয়া টাকা দিতে হবে। সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে অভিষেক নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে লেখেন: “যেমনটা আমি আগেও বলেছি, আবারও বলব: চলবে না অন্যায়, টিকবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি! জয় বাংলা।” তিনি সেই দিন একটি ভিডিও বার্তাও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন।

একই দিনে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আবেদনে হস্তক্ষেপ না করে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল—আপনারা নিজে আবেদন তুলে নেবেন, নাকি আমরা তা খারিজ করব? অবশেষে মামলাটি খারিজ হওয়ায় রাজ্যে আটকে থাকা ১০০ দিনের কাজ-প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রকে ছাড়তে হবে—এটাই সিদ্ধান্ত।

অভিষেক এই রায়কে বাংলার জনগণের ঐতিহাসিক জয় আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি বহিরাগত বাংলাবিরোধী শক্তিদের একটি পার্লামেন্টারি ও আইনি পরাজয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে বাংলার ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে, দরিদ্রদের মজুরি কেড়ে নিয়েছে এবং জনগণকে শাস্তি দিয়েছে—কিন্তু বাংলা কখনো হার মানে নি। কর্মসূচি শক্ত করে প্রতিটি ন্যায্য টাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

অভিষেকের বার্তায় পুনরাবৃত্তি রয়েছে: “চলবে না অন্যায়, টিকবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি!” — এবং তিনি জয় বাংলা বলে দলীয় জোরদার সুর বজায় রেখেছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top