বঙ্গোপসাগরের অতিপ্রবল নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রিকার্ভ হওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। আপাতত আবহাওয়া অফিসের অনুমান অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা উপকূলের কাছে। তবে কোথায় তা আছড়ে পড়বে তা এখনই বলতে পারছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রতি ঘন্টায় ১৬ কিমি করে অগ্রসর হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অতিপ্রবল নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হয়েছে।
যা এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় কার নিকোবর থেকে ৪৫০ কিমি পশ্চিম উত্তর পশ্চিম, পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৩৮০ কিমি পশ্চিম, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিমি দক্ষিণ-পূরেব এবং ওড়িশার পুরী থেকে ১০৩০ কিমি উত্তর-উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছিল।
আর ও পড়ুন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলো স্বামী
আবহাওয়া দফতর মনে করছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং এদিনই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ১০ মে বিকেল পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর বয়ে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। ১২ মে-তেও এই পরিস্থিতি থাকবে। ১৩ মে ফের নাম নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর তা সম্ভবত উত্তর-উত্তর-পূর্বে রিকার্ভ করবে এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে।
৮ মের পাশাপাশি ৯ ও ১০ মে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরেই অবস্থান করবে। ১১ মে এর শক্তি হ্রাস পেয়ে ফের তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল নাও হতে পারে। সমুদ্রেই তা আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের বদলে যাওয়া মতিগতির কারণেই ল্যান্ডফলের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। তবে উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ল্যান্ডফল না হলেও অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।