রাজ্য – বঙ্গ বিজেপির সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় এই মুহূর্তে বুথস্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতা। তাই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিচুতলার দুর্বলতা এবং নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে তোলা জরুরি। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব শুক্রবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এই বার্তা দেন।
এই সময় বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব কেন্দ্রীয় নেতাদের চিন্তার কারণ। রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলও বলেছেন, সমস্ত স্তরের কমিটিতে ৫০ শতাংশ পুরনো নেতাকেও রাখতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং চারজন সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতারা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে দলে নতুন ও পুরনো নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী কাজে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ কমিটির অবশিষ্ট কাজ এবং এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন ভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেব। চলতি মাসের শেষের দিকে রাজ্যজুড়ে একাধিক বড় কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কালীপুজোর আগে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হবে, যা নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ক্ষতি না করে এগিয়ে যাবে।
ভূপেন্দ্র যাদবকে করা হয়েছে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবকে। তাঁদের নাম ঘোষণার পর ২৫ সেপ্টেম্বরই প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটকে কেন্দ্র করে রণকৌশল, কোন ইস্যুতে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, এসআইআর সংক্রান্ত পদক্ষেপ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও শাসকদলের প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা বৈঠকেও এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেছেন।
