মালদা – মালদহে ফের হাড়হিম করা ঘটনা। আর এবার কালিয়াচকে দুই পক্ষের বিবাদে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে মৃত্যু যুবকের। পাশাপাশি জখম আরও ৪ জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা।
ঘটনায় ফের একবার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার চরি অনন্তপুর গোয়ালপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে এলাকারই দুই ব্যক্তি বিকাশ ঘোষ ও মনোজ ঘোষের মধ্যে পুরোনো বিবাদ ছিল। স্থানীয় জনগণ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলির রাতে মোটরবাইক নিয়ে বিকাশ ঘোষ বাড়ি থেকে বের হন। তখনই রাস্তায় তাঁকে মনোজ ঘোষ ও তাঁর দলবল বিকাশকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এরপরেই বচসায় জড়ায় দুই পক্ষ।
বচসা রীতিমতো হাতাহাতিতে গড়ায়। এরপরই রাস্তাতেই রক্তারক্তি কাণ্ড হয়। মনোজ ঘোষ ও তাঁর দলবলের লোকেরা মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। মদ্যপ অবস্থায় আচমকা গালিগালাজ করাতেই প্রতিবাদ করেন বিকাশ। কিন্তু তাতেই বেঁধে যায় সংঘর্ষ। প্রতিবাদ করায় ঝরল রক্ত। বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এনে বিকাশকে মনোজ কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। পেশায় চা বিক্রেতা বিকাশের বয়স ২৮ বছর।ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। যুবকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত মনোজ ঘোষ গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মৃতের দিদি ভারতী ঘোষ বলেন, “ভাই মারা গিয়েছে। দাদাকেও মাথায় আঘাত করেছে। দাদার আঘাত গুরুত। ভাই কোনও নেশা করে না। মনোজ ঘোষ মদ খেয়ে গালিগালাজ করে। ভাই প্রতিবাদ করলে মনোজ ঘোষেরা হাঁসোয়া লাঠি এনে মারধর করে। আমরা চাই এর শাস্তি হোক।” মৃতের আত্মীয় পলাশ ঘোষ বলেন, “এসে দেখি কোপাকুপি চলছিল। মনোজ ঘোষ একেবারে মাতাল। দোষীকে ছাড়ব না। উচিত সাজা চাইছি।”
প্রসঙ্গত, অপর একটি ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বাড়ির অদূরেই পরপর দুই রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। মালদহের ইংরেজ বাজার পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুড়াটুলি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম বিপ্লব ঘোষ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
