২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯-এর প্রায় শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি আমরা, আর সাথে শীতের আমেজে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া দাওয়া, পিকনিক সবকিছুই প্রায় শুরু হয়ে গেছে।বাঙালি মানেই ভ্রমণের সঙ্গে ভুরি ভোজ।তবে তা কখনোই লিমিটের বাইরে গেলে চলবে না।মন ভালো করার সাথে সাথে অবশ্যই শরীর ভালো রাখতে হবে।আর তা পুরোপুরি নির্ভর করছে আপনার উপর।আনন্দ করার মধ্যেও নিজের স্বাস্থ্যের কিভাবে খেয়াল রাখবেন তার কিছু টিপস এ বছর আপনারা মেনে চলুন, তাহলে এবার বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরু কোনোটাই যে খারাপ যাবে না তা নিশ্চিত।
শরীর সুরক্ষিত রাখতে আপনাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন-
১) ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি বাইরে খেতে হলে ভালো রেস্তোরাঁ বেঁচে নিন।হুট্ করে রাস্তার খাবার না খাওয়াই ভালো। খোলা আকাশের তলায় যে সব খাবার বানানো হয়, সেখানে হাইজিন মানা অসম্ভব।
২) প্রতিদিন মশলাদার খাবার না খেয়ে সপ্তাহের কিছু দিন স্টিমড, বেকড অথবা রোস্টেড খাবার বাছুন। এতে শরীরের ওপর চাপ পড়বে না।
৩) কতটা খাচ্ছেন, তার একটা হিসেব রাখুন। একবেলা খুব স্পাইসি খেয়ে ফেললে, পরের বেলা কম স্পাইসি, মোমো জাতীয় খাবার, বা স্যুপ খেতে পারেন, তাহলে সারাদিনের ক্যালোরিতে একটু ভারসাম্য রক্ষা হবে।
৪) রাস্তার ফুচকা, আলুকাবলি দেখে লোভ সামলাতে না পারলে একদিন অন্তর খান। ফুচকার জল যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। ঝাল খেতে চাইলে লাল লঙ্কার বদলে কাঁচা লঙ্কা দিতে বলবেন।
৫) উদযাপনের দিনগুলোতে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় জল সঙ্গে রাখবেন অবশ্যই। বাইরের খোলা জল একদম পান করবেন না। সঙ্গে জুস রাখতে পারেন। শরীর যাতে ডিহাইড্রেটেড না হয়।
৬) বছরের শেষটা উল্টো পালটা খেয়ে ফেলে যখন মেদ বাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায়, তখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফাইব্রাস জাতীয় খাবার খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে। সেদ্ধ সবজি, স্যালাড, ফল বেশি খেলে টানা দিন সাতেকের অনিয়ম অনেকটাই মেক আপ করা সম্ভব হবে আপনার পক্ষে।