উত্তপ্ত কর্নাটক, খুন বজরং দলের কর্মী । নতুন বিতর্ক দানা বাঁধল কর্নাটকে। শিবামোগ্গায় খুন হলেন বজরং দলের এক কর্মী। সেই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দলের নেতা–কর্মীদের। আগুন ধরানো হল গাড়িতে। ছোড়া হল পাথর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ।
মৃতের নাম হর্ষ। বয়স ২৬ বছর। দরজির কাজ করতেন তিনি। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে কুপিয়ে মারে কয়েক জন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলে উঠেছে শিবামোগ্গায়। বেশ কিছু যানবাহনে আগুন ধরানো হয়। পুলিশ জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। স্কুল, কলেজ সবই বন্ধ রয়েছে আজ। তাতে কাজ হয়নি। মৃতের দেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে জড়ো হন বজরং দলের কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন, ‘হিজাব কাণ্ডের সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগ নেই। অন্য কারণে এসব ঘটেছে। শিবামোগ্গা সংবদেনশীল শহর।’ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্তে কিছু সূত্র পেয়েছে। শিগগিরই ধরা পড়বে দোষীরা।
আর ও পড়ুন আজ আপনাদের জন্য রইল সুস্বাদু শনপাপড়ি তৈরির সহজ রেসিপি
যদিও কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা আঙুল তুলেছেন রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান ডি কে শিবকুমারের দিকে। দাবি করেছেন, শিবকুমারের উসকানিতেই এসব হয়েছে। মুসলিমরাই খুন করেছে হর্ষকে। সম্প্রতি শিবকুমার হিজাব নিয়ে একটি প্রতিবাদ সভায় বলেছিলেন, জাতীয় পতাকার জায়গায় এবার গেরুয়া ঝাণ্ডা লাগানো হবে। হিজাব–বিরোধী প্রতিবাদের জন্য সুরাটের কারখানায় ৫০ লক্ষ গেরুয়া শালের বরাত দেওয়া হয়েছে। এই কথার জন্যই খুন হয়েছেন ওই বজরং কর্মী।
যদিও শিবকুমার এসব অভিযোগ মানেননি। বলেছেন, ঈশ্বরাপ্পা এক জন ‘পাগল’। বিজেপি নেতৃত্বের তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। রাজ্যে আইন–শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। এজন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তফাও দাবি করেছেন তিনি।