বড়দিনে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ রায়গঞ্জ গীর্জাতে। করোনা অতিমারির কারণে গত ২ বছর বড়দিনের উৎসব ছিল একেবারে ম্লান। এবার কি বড়দিন উপলক্ষ্যে মেলা বসবে রায়গঞ্জ কর্ণজোড়ার বিশাল চার্চে? প্রশ্ন অনেকের। সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ চার্চে গিয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধি। দেখে এলেন রায়গঞ্জ ছটপড়ুয়ার সেন্ট জোসেফের ক্যাথিড্রাল মহাগীর্জার বড়দিনের প্রস্তুতি। দেখা গেল গোশালা, শিশু যীশু খ্রীষ্টের জন্মের নানা মডেল সহ সুন্দর করে আলোয় সাজানো হচ্ছে চার্চ ও বিশপের বাসস্থান।
জানা গেছে, প্রতি বারের মত এবারও ২৪ শে ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকেই শুরু হবে নানান অনুষ্ঠান ও পুজো, প্রার্থনা। এই পর্ব শেষ হবে গভীর রাতে। পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে বসবে বিশেষ প্রার্থনা সভা। অংশ নেবেন প্রায় ২ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। তবে গত ২ বছরের মত এবার আর বন্ধ থাকবে না চার্চের গেট। চার্চের পাশের খেলার মাঠে জোর কদমে চলছে এবছরের মেলার প্রস্তুতি। এরই ফাঁকে মেলা কমিটির সদস্য অনুপ কারকেট্টা বলেন, গত ২ বছর মেলা হয়নি। গতবছর চার্চের গেট বন্ধ ছিল। গেটেই মডেল তৈরি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গীর্জায় সাধারণের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এবছর করোনা ভীতি কেটেছে। তাই জমজমাট মেলা হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন – ক্রীসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা
এদিকে মেলা শুরুর আগে বিশ্বজুড়ে আবারও করোনা মহামারীর প্রকোপ সামান্য বাড়তে থাকায় ২৫শে ডিসেম্বরের মেলায় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে চলেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনটাই জানালেন চার্চের ফাদার সান্থাপন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে করোনা মহামারী আবারও ছড়িয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের ২৫শে ডিসেম্বরের মেলায় সকল দর্শকের জন্য মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। আমরা চাই সকলেই ভগবান যীশুর আশীর্বাদ পেয়ে ধন্য হোন। সারা বিশ্ব যখন ইংরেজি নতুন বর্ষ ও বড়দিনের উৎসব পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন আবারও করোনার এই ঢেউ কি সমস্ত প্রস্তুতি মাটি করে দেবে, এমনই আশঙ্কায় রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ। সকলেরই নজর এখন কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশের দিকে।