সরকারি বনসৃজনের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বাবার বিরুদ্ধে

সরকারি বনসৃজনের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বাবার বিরুদ্ধে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সরকারি বনসৃজনের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বাবার বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের ২নং ব্লকে সরকারি বনসৃজনের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠল ব্লকের যুব তৃণমূল নেতার বাবার বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন দলেরই অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের পঁচেট গ্রাম পঞ্চায়েতের পঁচেট দক্ষিণ পাড়া এলাকার।

পঁচেট অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি নীলমাধব দাস অধিকারী-র অভিযোগ, ছেলে সুরজিৎ মাইতি পটাশপুর ২ ব্লকের যুব তৃনমূলের নেতা। তাই ছেলে তৃণমূলের যুব সভাপতি হওয়ায় বাবা (মনোজ মাইতি) প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বনসৃজনের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে যুব সভাপতির বাবার বিরুদ্ধে এগরা মহকুমা শাসকে ও ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নীলমাধব দাস অধিকার।

 

 

ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক সরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকা জুড়ে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এই ঘটনায় এলাকারই এক বাসিন্দা তিনি জানান এর আগে বহুবার গাছ কেটে নিয়েছে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদ আমরা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন আমরা ওই ব্যক্তির কঠিন শাস্তি চাই।

যদিও এই ঘটনায় ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি সুরজিৎ মাইতি তিনি পাল্টা অভিযোগ তুললেন অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে, তিনি বলেন আমরা মমতা ব্যানার্জি সৈনিক। গাছ কাটার নোংরা রাজনীতি আমরা করি না। উনি যে অভিযোগ করেছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উনি নিজেই উত্তর-পূর্ব বুথে ও খাটুয়া বাড় বুথে অবৈধভাবে গাছ কেটেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

আরও পড়ুন – পাট্টা জমির রেকর্ড সহ একাধিক দাবি দাবা নিয়ে চন্দ্রকোনারোডে বিক্ষোভ মিছিল CPI(M)-এর

এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি-
বিজেপির পশ্চিম মন্ডলের সভাপতি গৌরকিশোর মহান্তি তিনি বলেন সারা পশ্চিমবঙ্গে শ্লোগান উঠেছে পিসি, ভাইপো, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি তৃণমূলের সবাই চোর। সাধারণ মানুষ বলতো চোর। এখন নিজেরা নিজেদেরকে চোর বলে দোষারোপ করছে। চাকরি চুরি, ত্রিপল চুরি, গাছ চুরি সবেতে যুক্ত তৃনমূল। এটাই হচ্ছে তৃণমূলের কালচার।

তবে এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন কুমার সাউ তিনি জানিয়েছেন-
এই বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টির খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই এলাকায় যুব সভাপতি ও অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির বাড়ি। কে কোথায় কি প্রভাব খাটাবে? আমাদের দলের এখন কর্মী কেউ নেই। এখন সবাই নেতা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top