বহিরাগত অটো বন্ধের দাবিতে বারুইপুরে অটো চালকদের বিক্ষোভ । রুটে বহিরাগত অটো বন্ধের দাবি জানিয়ে সোমবার সকাল থেকে বারুইপুর-গড়িয়া রুটের অটো চলাচল বন্ধ করে দিল গড়িয়া, রাজপুর, বারুইপুর আই এন টি টি ইউ সি সংগঠনের অটো চালকরা। এমনকী, সোনারপুরের রাজপুর ফাঁড়ি মোড়ে রাস্তায় কয়েক ঘন্টা অবরোধ করে তাঁরা।অভিযোগ, বারবার পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক, শাসক দলের নেতাদের জানিয়েও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
বারে বারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে বহিরাগত অটো চলাচল এই রুট থেকে বন্ধ না করে দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে অটো চালকরা। অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদিন চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষজন। ভিড় বাস ও ভিড় ট্রেনে করেই তাঁদের গন্তব্যে যেতে হয়। দুপুর ১টার পর সোনারপুর ট্রাফিক ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
যদিও তাঁরা বিক্ষোভে অনড় থাকে। অটো চালকরা বলেন, সোনারপুর উত্তর, দক্ষিন, বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক এর আওতাভুক্ত এই রুট। বারবার বিধায়ক থেকে শুরু করে আই এন টি টি ইউ সভাপতি সবাইকে জানানো হয়েছে। কিন্তু অবৈধ ৯৫ নম্বর অটোর দাপট বেড়ে গিয়েছে এই রুটে। নরেন্দ্রপুর, সোনারপুর, বারুইপুর থানার পুলিস থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একদল নেতাদের মদতে বহিরাগত অটোদের এই দাপাদাপি। রাজপুর অটো ইউনিয়নের সম্পাদক মানিক দে বলেন, গত চার বছর ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি বহিরাগত অটো বন্ধ করতে হবে। প্রায় দেড় হাজার অটো চলে বারুইপুর-গড়িয়া রুটে।
আর ও পড়ুন ইটভাটার ধোঁয়া থেকে মার খাচ্ছে মালদহে আমের ফলন
এর মধ্যে ঢুকে পড়ছে বহিরাগত ৫০০ অটো। আমরা সব নেতাদের জানিয়েছি, কিন্তু লাঞ্ছনা, বঞ্চনা চলছে আমাদের প্রতি। আমাদের আয় কমে গিয়েছে এই বহিরাগত অটোদের জন্য। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে। এদিকে, সাধারন মানুষজন বলেন, এই বারুইপুর-গড়িয়া রুটের অটোই সন্ধ্যার পর থেকে পাওয়া যায় না। একেবারে বারুইপুর পর্যন্ত অটো আসতে চায় না। বারুইপুর রুটের অটো কিন্তু আসে সোনারপুরের রাজপুর, হরিনাভি পর্যন্ত। তাদের বারুইপুর পর্যন্ত আসবার কথা।