বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে অভিষেকের সওয়াল, মুখ খুললেন ফিরহাদ । তিনি বলেছেন, ‘মানুষের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাকেই প্রার্থী করে পার্টি। নবীন হোক বা প্রবীণ, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাটাই আসল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই আমরা আছি। দলে সবার দরকার আছে, যেখানে অভিজ্ঞতার দরকার, সেখানে প্রবীণরা আছেন। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে, নবীন বা প্রবীণ যেই হোন, তাকে প্রার্থী করা প্রয়োজন। আমি তো নবীন-প্রবীণের মাঝে, আমি তো মধ্যবয়স্ক। আমি বাইরে কিছু বলব না, আমি যা বলার পার্টির ভিতরে বলব। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, এরকম অনেকে আছেন।’
মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী বলেছেন, ‘রাজনীতি হোক বা যে কোনও ফিল্ডে হোক, আমি মনে করি একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার।’এদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘রাজনীতি আর চাকরি দুটো আলাদা, পার্টিতে আমরা হলাম ভলান্টিয়ার আমরা পার্টির কর্মী নই।’ দলে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে ফের কার্যত আড়াআড়ি বিভক্ত তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ‘বয়সের ঊর্ধ্বসীমা’র তত্ত্বকে। এবার সটান খারিজ করে দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কিচেন ক্য়াবিনেটের সদস্য় ববি হাকিম। অভিষেক বলেছেন, প্রবীণ যাঁরা আছেন, তাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু, আমি প্রোডাক্টিভিটি যদি দেখি, আজকে প্রোডাক্টিভিটি কিছুটা হলেও কমে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উনি হয়তো বলে থাকতে পারেন। আমি মনে করি যে সর্বত্র একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। নতুন তৃণমূল মানে, যারা নতুন দলে এসেছে, তাঁরা দল করবে, আর পুরনোরা করবে না, তা তো নয়।
ফিরহাদ আরও বলেন,’পার্টিতে আমরা হলাম ভলান্টিয়ার, আমরা পার্টির কর্মী নই। আমরা সেই জন্য আন্দোলনে গুলিও খেতে যাই। কোনও এমপ্লয়ি গুলি খেতে পারে না। কোনও এমপ্লয়ি জীবন দিতে পারবে না। আমরা ভলান্টিয়ার তাই আমরা আন্দোলন করছি।’ প্রোডাক্টিভিটি কী কমে যায়? তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর উত্তরে বলেছেন, নিশ্চয়ই কমে যায়। নিশ্চয়ই কমে যায়। প্রোডাক্টিভিটি অর্থাৎ অভিজ্ঞতা। একটা জায়গায় বসে আপনি কাজ করতে পারেন, আপনি দৌড়ে দৌড়ে কাজ করতে পারেন। তবে, নিশ্চিতভাবে অভিজ্ঞতার একটা আলাদা