বর্ধমানে তৃণমূল কার্যালয় সংলগ্ন ঘরে মহিলাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ, তিন তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার,

বর্ধমানে তৃণমূল কার্যালয় সংলগ্ন ঘরে মহিলাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ, তিন তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বর্ধমান – বর্ধমান শহরে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় লাগোয়া একটি ঘরে দিনের পর দিন ধরে এক মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার নির্যাতিতা মহিলা সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে সাহায্য প্রার্থনা করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়, এরপরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।

ধৃতদের নাম আলি দফাদার, রকি দফাদার এবং সোনা দফাদার। তিনজনেরই বাড়ি বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে আদালতের নির্দেশে তিনজনকেই শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, ওই তিন যুবক তাঁকে দিনের পর দিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এই ঘটনার পর বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেছেন,
“বাংলা নিজের মেয়েকে চাই” বলে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার মহিলাদের সম্মান রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তৃণমূলের রাজত্বে বাংলায় মহিলারা কেউই নিরাপদ নন।”
তিনি রাজ্যের মহিলাদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুজোর আগে এই অভিযোগে তৃণমূলের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top