অকাল বর্ষণে আলু চাষিদের মাথায় হাত।দুর্যোগের পর দুর্যোগ। প্রথমে বৃষ্টিতে ধান বরবাদ হয়েছে। এখন জমিতেই পচে যাচ্ছে আলুর চারা। ফলন না হলে মহাজনের ঋণ শোধ করবেন কী করে ভেবে পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। অন্যদিকে, হুগলির ছবিটাও পৃথক নয়। সেখানেও ছবিটা একই। হাজার হাজার বিঘা জমির আলু আজ জলমগ্ন।
জাওয়াদ ঝড়ের সতর্কতা তা আগেই ছিল, তার মাঝে নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টির জেরে মাথায় বাজ পড়েছে ধানচাষিদের। এবছর ধান চাষের শুরু থেকেই নিম্নচাপের জেরে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। আলু চাষের সময়ও দুর্যোগ চলছে।
স্থানীয় এক কৃষকের কথায়, “চাষ কী করব! আগেই তো সব গাছ মরে গিয়েছে। মহাজনের কাছে এত এত ধার! জানি না কীভাবে শোধ দেব। না খেতে পেয়ে মরতে হবে।” অন্য আরেক কৃষক বলেছেন, “চাষ কী করব! বীজের দাম, সারের দাম এত বেশি যে আগুন ছুটছে যেন! তারমধ্যে বৃষ্টি। কোথায় যাব আমরা। ফলন না হলে ধার শোধ হবে না। ”
যেসব জমিতে আলু লাগানো হয়েছিল সেই সব জমিও উপর দিয়ে জলের স্রোত বইছে । আলুর ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলন কম হলে চাহিদা অনুযায়ী জোগান মিলবে না। এদিকে, বেশিরভাগ কৃষক মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেন। ফলন না হলে ঋণ শোধের টাকাও উঠবে না। এই অবস্থায় কী করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
আর ও পড়ুন জাওয়াদ এর প্রভাবে জলমগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি
এদিকে, মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন বেশিরভাগ কৃষক। ফলন ভালো না হলে ঋণ মেটাবেন কী করে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের। তারউপরে রয়েছে কালোবাজারি। সব মিলিয়ে শিরে সংক্রান্তি চাষিদের। আচমকাই দাম বেড়ে গিয়েছে সারেরও।
কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে সারের দাম হঠাত্ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বস্তা সারের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি যেদিকে তাতে আলু চাষ থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক চাষির।এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ।
উল্লেখ্য, অকাল বর্ষণে আলু চাষিদের মাথায় হাত।দুর্যোগের পর দুর্যোগ। প্রথমে বৃষ্টিতে ধান বরবাদ হয়েছে। এখন জমিতেই পচে যাচ্ছে আলুর চারা। ফলন না হলে মহাজনের ঋণ শোধ করবেন কী করে ভেবে পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। অন্যদিকে, হুগলির ছবিটাও পৃথক নয়। সেখানেও ছবিটা একই। হাজার হাজার বিঘা জমির আলু আজ জলমগ্ন।জাওয়াদ ঝড়ের সতর্কতা তা আগেই ছিল, তার মাঝে নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টির জেরে মাথায় বাজ পড়েছে ধানচাষিদের।
এবছর ধান চাষের শুরু থেকেই নিম্নচাপের জেরে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। আলু চাষের সময়ও দুর্যোগ চলছে।স্থানীয় এক কৃষকের কথায়, “চাষ কী করব! আগেই তো সব গাছ মরে গিয়েছে। মহাজনের কাছে এত এত ধার! জানি না কীভাবে শোধ দেব। না খেতে পেয়ে মরতে হবে।” অন্য আরেক কৃষক বলেছেন, “চাষ কী করব! বীজের দাম, সারের দাম এত বেশি যে আগুন ছুটছে যেন! তারমধ্যে বৃষ্টি। কোথায় যাব আমরা। ফলন না হলে ধার শোধ হবে না। ”