যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিস এলাকায় মহা ধুমধামে তিন ফুট উচ্চতার বর ও কনের বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। কনে যশোরের সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের নাজির মোল্লার মেয়ে ময়না খাতুন। বর একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিস এলাকার মৃত আকবার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম।
বর-কনে দুজনই খর্বাকৃতির। বরের উচ্চতা তিন ফুট এবং কনের উচ্চতাও প্রায় তিন ফুট। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বেশ ধুমধাম করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক হাজার এক টাকার কাবিনে ধরা হয়।
অভিভাবকদের সম্মতিতে তাদের বিয়ের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। তিন ফুট উচ্চতার বর-কনের বিয়ের খবর শুনে নবদম্পতিকে একনজর দেখার জন্য আশপাশের গ্রাম থেকে হাজারো লোক ছুটে আসে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘বর রবিউল ইসলামের বয়স ২৬ বছর হলেও তার উচ্চতা তিন ফুট। আর ৩৬ বছর বয়সী কনে ময়না খাতুনের উচ্চতাও তিন ফুট।’
এলাকার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন বুলবুল বলেন, ‘রবিউলের বাবা নেই। মা অন্য জায়গায় বিয়ে করে চলে গেছেন। রবিউল থাকতো খালু জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে। দু’পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বরযাত্রী হিসেবে আমরা দুটি মাইক্রোবাস আর ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ৬০ জনের মতো যাই। পরদিন বৌভাতে সেখান থেকে ৪০-৪২ কনে যাত্রীসহ আমরা প্রায় ২০০ মানুষের জন্যে আয়োজন করি। সাদাভাতের সঙ্গে গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিম ইত্যাদি ছিল। খাওয়া-দাওয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি।’
বিয়ের অন্যতম আয়োজক ছিলেন গাজী কামারুল ইসলাম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা তাদের বিয়ে দিতে পেরেছি। সবাই দোয়া করবেন তাদের জন্য।’
এ ধরনের মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বর রবিউল বলেন, ‘বিয়ে হয়েছে আমাদের দুজনের সম্মতিতেই। বিয়ে করতে পেরে এখন অনেক ভালো লাগছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেনো বাকি জীবন সুখে কাটাতে পারি।’কনে ময়না বলেন, ‘খুব ধুমধাম করে হয়েছে আমাদের বিয়ে। আমার অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে বিয়ে হবে কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। বিয়েতে আসা দু’পক্ষই অনেক আনন্দ করেছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।’