ভবানীপুরে ভোটে জয়লাভ করার পর কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ২১ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪২০১ ভোট। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের ভোট দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
প্রচারের সময় বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। বললেন, ‘সারা বাংলা-দেশ ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। আর ভবানীপুর আমাদের দেখিয়ে দিল। সব চক্রান্তকে জব্দ করেছেন ভবানীপুরের মানুষ। আমি চির ঋণী। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাব।’
একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ এবং তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে । উপনির্বাচনে শোভনদেবকে টপকালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমি প্রথমেই ভবানীপুরের সবাইকে, সারা দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবানীপুরের ভোটার কম।
এখানে ১ লাখ ১৫ হাজার মতো ভোট পোল হয়েছে। জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোটার সংখ্যা বেশি। ভবানীপুরে ভোট সবসময় কম পড়ে। এটা এখানকার ধারা। ২০১১ সালে আমি ৪০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলাম। এবারে আমরা ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতেছি। আমি সবাইকে ধন্য়বাদ জানাব। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘সবাই ভোট দিতে বেরিয়েছিলেন।
এবার কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এবারে একটা ওয়ার্ডেও হারিনি। এখানে ৪৬ শতাংশ নন বেঙ্গলি। মারোয়ারি, মুসলিম, বিহারি সবাই আছে। সবাই ভোট দিয়েছেন। সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ ছিল। জায়গাটা ছোট্ট। কিন্তু, বৃত্তটা ভরে গেল। সারা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। আর ভবানীপুর আমাদের দেখিয়ে দিল। সব চক্রান্তকে জব্দ করেছেন ভবানীপুরের মানুষ।
আমি চির ঋণী। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাব।’ ভবানীপুর ছাড়াও সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে উপনির্বাচন চলছে। তাই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমাকে অনেকেই ভিকট্রি সাইন দেখাতে বলছেন। কিন্তু, আমি তা না দেখিয়ে ৩ আঙুল দেখাব। কারণ, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও আমরা জিতছি। এই জয় আমার একার জয় নয়। আমরা সকলেই তাঁদের মনে রাখব। ১,২,৩ মানুষকে ধন্যবাদ দিন। মা-মাটি-মানুষের দিন।’
আর ও পড়ুন আটক শাহরুখ পুত্র আরিয়ান, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, জা্ননু বিস্তারিত
উল্লেখ্য, এদিন ভবানীপুরের জননেত্রী মমতা ব্যানার্জি বিশাল ব্যবধানে জিতলেন।এ ছাড়াও বাকি দুটি উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়লাভ। তাই বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী নেতা সমর্থকরা আবীর খেলায় মেতে উঠলেন।রবিবার বর্ধমান কার্জন গেট সবুজ আবির খেলা হলো। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন যে ভবানীপুর বিধানসভার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়ে আগামী দিন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একজন পথিক। তাই আগামী দিন ভারতবর্ষের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা একাধিক আনন্দে উল্লসিত এবং আবীর খেলায় মেতে উঠলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে এই জয় মানুষের জয় এই জয় উন্নয়নের জয় এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।
ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জির জয়লাভে উচ্ছ্বাসে নদীয়ার শান্তিপুরেও। শান্তিপুর, পৌরসভার সহকারি প্রশাসক শুভজিৎ দে শান্তিপুর কাঁশোপাড়া মোড়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পথচারীদের মিষ্টি খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে এবং নিজেদের মধ্যে আবির খেলার মধ্য দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘সবাই ভোট দিতে বেরিয়েছিলেন।এবার কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি।
এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এবারে একটা ওয়ার্ডেও হারিনি। এখানে ৪৬ শতাংশ নন বেঙ্গলি। মারোয়ারি, মুসলিম, বিহারি সবাই আছে। সবাই ভোট দিয়েছেন। সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ ছিল। জায়গাটা ছোট্ট। কিন্তু, বৃত্তটা ভরে গেল। সারা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। আর ভবানীপুর আমাদের দেখিয়ে দিল।
সব চক্রান্তকে জব্দ করেছেন ভবানীপুরের মানুষ।আমি চির ঋণী। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাব।’ ভবানীপুর ছাড়াও সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে উপনির্বাচন চলছে। তাই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমাকে অনেকেই ভিকট্রি সাইন দেখাতে বলছেন। কিন্তু, আমি তা না দেখিয়ে ৩ আঙুল দেখাব। কারণ, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও আমরা জিতছি। এই জয় আমার একার জয় নয়। আমরা সকলেই তাঁদের মনে রাখব। ১,২,৩ মানুষকে ধন্যবাদ দিন। মা-মাটি-মানুষের দিন।’