। হাইকোর্টের রায়; সীমান্ত শহর বসিরহাটে টোটো নিয়ন্ত্রণ করবে না পৌরসভা, নিয়ন্ত্রণাধিকার শুধুমাত্র রাজ্য পরিবহন দপ্তরের ।।
বসিরহাট টাউন ই-রিক্সা অপারেটর ইউনিয়নের অধীনে বসিরহাট শহরে প্রায় ৭০০ ই-রিক্সা টোটো রয়েছে। যেখানে টোটো চালক সহ টোটো চালকদের পরিবারের সদস্য ধরছ প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে এই জীবিকার উপর নির্ভরশীল। চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বসিরহাট পৌরসভা এক নির্দেশিকা জারি করে। শহরকে যানজট মুক্ত করতে পৌরসভার গাইডলাইন মেনে টোটো চালাতে হবে। এমনকি কিউআর কোড ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার জেরে বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়েন শহর বসিরহাটের শয়ে শয়ে টোটো চালক। রুজি রোজগার ও জীবন জীবিকা চালাতে বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা দেখছিলেন তারা। বসিরহাট পৌরসভার সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৮ই আগস্ট সংগঠনের সভাপতি ভাস্কর মিত্রের নেতৃত্বে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে বসিরহাট টাউন ই-রিক্সা অপারেটর ইউনিয়নের সদস্যরা। সেই মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি অমৃতা সিনহা বসিরহাট পৌরসভার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে জানতে চায় পরিবেশবান্ধব এই রিক্সা চালাতে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? সেইমতো পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারেনি। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর চলতি মাসের বাইশে ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি অমৃতার সিনহা নির্দেশ দেন টোটো রিক্সা পরিবেশ বান্ধব চালাতে কোন সমস্যা নেই। বসিরহাট পৌরসভা প্রশাসন কোনোভাবেই শহরে চলা এই টোটো গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সম্পূর্ণটা নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর রীতিমতো খুশি বসিরহাট শহরের টোটো চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। টোটো চালকরা রীতিমতো এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, “মহামান্য আদালত যেভাবে শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। আগামী দিন আমাদের টোটো চালাতে কোন বাধা রইল না। মানুষকে পরিষেবা দেবো পাশাপাশি আমাদের যেমন জীবন জীবিকা রুজি রোজগার সবটাই বাঁচবে পরিবার মুখে হাসি ফুটবে।”