বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে চলছে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে চলছে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে চলছে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য । ভুতনি চর এলাকায় এইভাবেই ভাঙ্গন রোধের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে করা ব্যবস্থা দাবি জেলা প্রশাসনের। সম্প্রতি সাত কোটি টাকা ব্যয় করে মালদার মানিকচকের ভুতনি চর এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ করে রাজ্য সেচ দপ্তর।

 

কিন্তু তারপরও ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়নি। একদিকে যখন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে গঙ্গা তখন অন্যদিকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে কোশি ও। মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি গাছপালা সব। ভিটে মাটি হারানোর আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এরই মাঝে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে জেলা জুড়ে। ভাইরাল ভিডিও দেখা যাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা ভাঙ্গন রোধের কাজে যে বালির বস্তা ব্যবহার করেছে সেই বালির বস্তা কেটে বস্তার ভেতর থেকে একের পর এক বস্তা উদ্ধার করছেন।

 

বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছে গঙ্গা বক্ষে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এইভাবেই ভুতনীর চর এলাকায় চলছে ভাঙ্গন রোধের কাজ। মন্টু মন্ডল নামে একটি স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বস্তার ভিতরে বস্তা ভরে এই নদী ভাঙন কখনো থামা যাবেনা। নেতা মন্ত্রীদের কাছে বলছি পাথর দিয়ে বা আরসিসি দিয়ে ভালো ভাবে কাজ করা হোক। ঠিকাদাররা কোন কাজ দেখেনা মুন্সীদের দিয়ে কাজ করিয়ে সব টাকা বিল তুলে নেয়। এটা চোখের দেখা একেবারে লুটপাট চলছে। পাবলিকের বলার কিছু নাই বলতে গেলে পুলিশের হাতে এরেস্ট হয়ে যায়।

 

রসিক মন্ডল নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে এই ভাঙ্গনের ফলে ভুতনীবাসী অনেক কষ্ট করে দিন যাপন করছে। বস্তার ভিতরে বস্তা ফেলে ঠিকাদাররা নদীতে ফেলে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বিল হয়ে যাচ্ছে, আর যার জন্য বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। নেতা থেকে ঠিকাদার সবাই মিলে এই লুটপাট চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন – ডাউন কল্যানী লোকালে ছাত্র পরিষদের ছেলেদের সঙ্গে ট্রেন যাত্রিদের প্রথমে বসচা,পরে ঝামেলা

ভাঙল রোধের কাজ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, মানুষের জীবন প্রাণ সম্পত্তি নিয়ে এরা যে ভাবে নোংরামো শুরু করেছে তা বরদাস্ত করা যায় না। চাকরি চুরি পঞ্চায়েতের পুকুর খননের টাকা চুরির পর এখন সেচ দপ্তরের বালি চুরি করছে এরা।

 

এই বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, কিছু লোক আছে যারা দলকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে, কাজ পেয়েও সঠিক ভাবে কাজ করছে না। কেউ যদি এই ধরনের কাজ করে থাকে প্রশাসন তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই বিষয়ে মালদা জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত হবে।অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top