বাংলাদেশের রাবার ড্যাম থেকে ছাড়া জলে হড়কা বানে ভেসে গেল আত্রেয়ী নদীর মধ্যে থাকা বেশকিছু যন্ত্রাংশ

বাংলাদেশের রাবার ড্যাম থেকে ছাড়া জলে হড়কা বানে ভেসে গেল আত্রেয়ী নদীর মধ্যে থাকা বেশকিছু যন্ত্রাংশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বাংলাদেশের রাবার ড্যাম থেকে ছাড়া জলে হড়কা বানে ভেসে গেল আত্রেয়ী নদীর মধ্যে থাকা বেশকিছু যন্ত্রাংশ। এমনিতেই দক্ষিন দিনাজপুর জেলা রাজ্যের মধ্যে একটি পিছিয়ে পড়া জেলা। জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী হলো আত্রেয়ী ও পুর্নরভবা। দুটি নদীই তাদের উৎস্যস্থল থেকে বেড়িয়ে এসে বাংলাদেশের দিনাজপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের গংগারামপুরের উপর দিয়ে পুনর্ভবা ও কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে ফের বাংলাদেশের ভেতরে গিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

 

মুলত কৃষিভিত্তিক দক্ষিন দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি মৎস্য চাষিদের জীবনধারনের জন্য জেলার এই দুটি নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মেনে থাকে জেলার বাসিন্দারা। যদিও অনেক বছর আগেই বাংলাদেশের দিনাজপুরের মোহনপুরে আত্রেয়ী নদীর উপর রাবার বাঁধ নির্মান করে জল ধরে রেখে ভারতীয় ভুখন্ডে প্রবাহিত হওয়া আত্রেয়ী নদীর নব্যতা কমে যাওয়ার দরুন ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ এলাকার কৃষিজিবি থেকে মৎস্যজিবিদের।

আরও পড়ুন – বেঙ্গল সাফারির মুকুটে জুড়ছে আরও এক নয়া পালক

দিশারী সংকল্প প্রথম দাবি করেন বাংলা দেশে রাবার ড্যাম দেবার কথা পরবর্তীতে তারা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের নজরে আনেন। এবং বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের পর দুই দেশের সরকারের মধ্যে এই নিয়ে কথাবার্তা হলেও এখনও পর্যন্ত হাল ফেরেনি আত্রেয়ী নদীর।

 

যার জেরে যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যা ছিল, সেই সমস্যা থেকেই গেছে। বাধ্য হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে সমস্যা সমাধানের জন্য বর্ষার সময় আত্রেয়ীর জল ধরে রাখার জন্য বালুরঘাটে একটি বাধ নির্মানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে জেলার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ নদী আত্রীয়কে নিয়ে।

 

বাংলাদেশ সরকার দিনাজপুর জেলার মোহনপুর এলাকায় আত্রেয়ী নদীতে রাবার ড্যাম তৈরিকরে। সীমান্ত এলাকায় নদী গর্ভে এমন ড্যাম হবার কারণে খরার দিনে ভারতের বেশ কিছু এলাকায় জল সংকট দেখা দেয়। আর সেই কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বালুরঘাটের চকভবানী এলাকায় একটি নদীগর্ভে বাঁধ নির্মাণের পরামর্শ দেন। সেই মতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ হলেও বাংলাদেশের রাবার ড্যাম থেকে ছাড়া জলে হড়কা বানে ভেসে গেছে নদীর মধ্যে থাকা বেশকিছু যন্ত্রাংশ। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি এই ব্যাপারে প্রশাসনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন দেখার বিষয় হলো জল কমতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা এসে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top