বাংলায় আগেভাগেই শীতের আমেজ, নভেম্বরের শুরুতেই নামছে পারদ

বাংলায় আগেভাগেই শীতের আমেজ, নভেম্বরের শুরুতেই নামছে পারদ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বাংলার আকাশে ভেসে উঠেছে শীতের আগমনী সুর। চলতি মাসের প্রথমার্ধেই শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং ঝাড়খণ্ডে। সেই প্রভাবেই আগেভাগে এরাজ্যে শীতের ছোঁয়া মিলছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের মতে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শীতল ও শুকনো বাতাস এখন দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে, ফলে সকাল ও রাতের দিকে স্পষ্ট ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

রবিবার ভোরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। সোমবার ভোরে দক্ষিণবঙ্গে আরও বেশি ঠান্ডা পড়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।

রবিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বীরভূমের শ্রীনিকেতনে—১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার তাপমাত্রাও শনিবারের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি কমে ১৯.২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে, যা এই সময়ের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনায় ২.১ ডিগ্রি কম। আজ, সোমবার, কলকাতার পারদ আরও নেমে ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস।

রাজ্যের মধ্যে দার্জিলিং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দিক থেকে শীর্ষে—মাত্র ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেখানেও ঠান্ডা আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাগুলিতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগড় থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়া পশ্চিমাঞ্চল দিয়েই বাংলায় প্রবেশ করছে, ফলে এই এলাকাগুলিতে শীতের প্রভাব তুলনামূলক বেশি। এমনকি, কালিম্পং (১৭ ডিগ্রি) থেকেও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জায়গা বেশি ঠান্ডা ছিল।

যদিও দার্জিলিংয়ের তুলনায় কম উচ্চতার কারণে কালিম্পংয়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই পারদপতন নভেম্বরের শুরুর স্বাভাবিক ঋতুচক্রের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ। তাঁদের ধারণা, সময় যত এগোবে, শীতের মাত্রা ততই বাড়বে। গত দশ থেকে বারো বছরে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার নজির রয়েছে। আপাতত, ভোর ও রাতের দিকে শীতের স্পষ্ট অনুভূতিই বাংলার মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছে—শীতের দিন একেবারে দোরগোড়ায়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top