বাংলার দূর্গা পূজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সন্মান জানিয়ে শোভাযাত্রা শহর জলপাইগুড়িতে। ইউনেক্সোর তরফে বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছে (Intangible Cultural Heritage of হুমানিত্য) এর স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতিকে সম্মান জানিয়ে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতার পাশাপাশি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করলো জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের সমাজপাড়া রবীন্দ্রভবন থেকে এই শোভাযাত্রার সূচনা হয়। এদিনের শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সমাজসেবী মহুয়া গোপ সহ প্রমুখ।এদিন সমাজপাড়া থেকে জোড়াবাতি মোড়, বেগুনটারি, উকিল পাড়া মোড়, কদমতলা, থানা মোড় হয়ে ফের রবীন্দ্র ভবনে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা। জেলা পুলিশ ও সরকারি সূত্রের খবর, জেলার ১৪২টি পুজো কমিটি ও ক্লাব, ১১৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন এদিনের শোভাযাত্রায়।
আরও পড়ুন – ৮ বছর আগে খুনের মামলায় গ্রেফতার ২
পাশাপাশি সদর শহর ও সংলগ্ন এলাকার হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও শামিল হয় এদিনের এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়। অপরদিকে শহরবাসীর একাংশও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এদিনে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়। এদিনের শোভাযাত্রায় একদিকে ধামসা-মাদলের তাল, ও অপরদিকে শঙ্খধ্বণি, উলুধ্বনিতে শোভাযাত্রায় পা মেলান সাধারন মহিলারাও। সকলেই ব্যানার ও পোস্টার হাতে নিয়ে ধন্যবাদ জানান ইউনেস্কোকে। এদিনে শোভাযাত্রায় পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ নাচ ও দুর্গা-রাম-লক্খণ রূপী খুদেদের দেখতে পথের ধারে ভীড় করেন বহু মানুষ।
জেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এদিনের শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের কর্মসূচীর সফলতায় স্বভাবতই খুশি জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। এদিন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে, উৎসাহের সাথে সকলেই শামিল হয়েছেন এই কর্মযজ্ঞে। অনুষ্ঠান সফল করার জন্য শহর তথা জেলাবাসীকে পাল্টা ধন্যবাদ জানান জেলাশাসক মৌমিতা গো। বাংলার দূর্গা