বাইকের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংর্ঘষে পাণ গেল এক নাবালিকা কন্যার,শোকের ছায়া পরিবারে. বাইকের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত এক নাবালিকা কন্যার।মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্রামের বাঁধ রোডে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত নাবালিকার নাম সুহানা পারভিন (৩)।
বাড়ি আলিনগর গ্রামেই।এদিন ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় মৃত দেহ রেখে তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা।পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মৃত দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় বলে খবর।তবে রাস্তার অবস্থা এবং ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।ট্রাক্টরটিকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসলেও ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এদিন সন্ধ্যায় মামা দিল খোশ তার দুই ভাগ্নিকে বাইকে করে পার্শ্ববর্তী গ্রাম গাংনদীয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল।অপরদিক ডারল থেকে তুলসীহাটার অভিমুখে খালি জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে আসছিল একটি ট্রাক্টর।বাড়ির নিকটে বাইকের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বলে খবর।বছর তিনের সুহানা ট্রাক্টরের চাকায় পড়ে যায়।ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে তার মামা দিল খোশ আলির হাত ও পা ভেঙে যায়। বর্তমানে সে বিহারের পূর্ণিয়ায় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন – তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন আলী বলেন, ট্রাক্টরটি ব্যাপক গতিতে আসছিল।সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি কে।রাস্তা তৈরির পর দু’ধারে মাটি ফেলেনি ঠিকাদার সংস্থা।আমরা প্রশাসনকে বলবো ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
মৃত সুহানার মা সবুক্তা বিবি বলেন,তার স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে।তার দুই মেয়ে।সুহান ছিল ছোট।আমার দুই মেয়ে মামার সঙ্গে তেলেভাজা কিনতে গাংনদীয়া গ্ৰামে গিয়েছিল।বাড়ি আসার পথেই এই দুর্ঘটনা।