বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি? মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের নারী কেন উনি তো বাঘিনী। বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি? উত্তরপ্রদেশে গিয়ে আবার জেন্ডারও চেঞ্জ হয়ে গেল? বেনারসে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরো বলেন, উনি তো প্রধান মন্ত্রী,রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছেন,এবার দেখুন কালো পতাকা দেখলে কেমন লাগে।
তৃণমূলের উত্তরবঙ্গে আসন পাওয়া নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন,
বিজেপি কোথাও ছিল না। গত লোকসভা বিধানসভায় এসেছে। তারা কেন আসতে পারেনি। উত্তরবাংলার লোক হিংসার রাজনীতি কখনো পছন্দ করে না। দক্ষিনবাংলার রাজনীতি উত্তরবাংলার লোকেরা চায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করে পৌরসভা জিতেছে। ভোট করতে দিচ্ছে না। এই রাজনীতি নিয়ে হয়ত বাংলা দখল করা যাবে বাংলার উন্নয়ন কখনো করা যাবে না।
পৌরসভায় বামেদের দ্বিতীয়স্থান দখল নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে বামেদের দখলে কটা পৌরসভা ছিল এখন কটা আছে। বামেরা দ্বিতীয় কেন প্রথম ছিল। এবারের যে ভোট করা হয়েছে সেখানে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। এখন সিপিআইএম এর যা পরিস্থিতি তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। যেটা তৃণমূল চাইছে বাম দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্ট কে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিকভাবে জয় বিজেপির।
আর ও পড়ুন বাঁকুড়ায় তিন পৌরসভাতেই জয়ী তৃণমূল
বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কাছে তৃণমূলের পরাজয় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভোট যেটা হয়েছে সেটা তো ভোট হয়নি। যারা তৃণমূলের পুরানো লোক বেশিরভাগ যারা সিন্ডিকেট চালায় যারা প্রমোটার যারা টাকা কামিয়েছে তাদেরকে টিকিট দিয়েছে যারা পাইনি তারা জোর করে দাঁড়িয়েছে এবং জিতেছে। যাদের সব লোকবল আছে তারাই ভোট করায়। যাদেরকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি বুঝতে পেরেছে লোকবল টাকা তাদের কাছেই আছে তারাই ভোটটা করিয়েছে এবং জয়ী হয়েছে।
বিজেপির হিমঘরে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০জনকে হত্যা করা হয়েছে। ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গেছেন। ফিফটি পার্সেন্ট কর্মী ইলেকশনে বের হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে সেজন্য বের হয়নি। পরবর্তী সময়ে বেরোবেন পার্টি আবার সক্রিয় হবে।