ষোলোয়ানা বাঙালিয়ানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। প্রাচীন যুগে যে জিনিসটা কি বাঙালিরা সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিতেন সেটি হলো “ষোলো আনা বাঙালিয়ানা”। বর্তমান যুগে এই অতি উন্নত মানের মানব সভ্যতার মাঝে ধীরে ধীরে লুপ্ত প্রায় হয়ে যেতে চলেছে সেই বাঙালিয়ানা। বর্তমান মানব সভ্যতা এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উপর।
তাই সেই লুপ্তপ্রায় বাঙালিয়ানা কি পুনরায় বাংলাভাষী মনে স্থান দেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই নেত্রীর একনিষ্ঠ সৈনিক তথা বজ বজ 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে এবং বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় ২১ এপ্রিল অর্থাৎ ৭ ই বৈশাখ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাঙ্গনে সেই ষোলোয়ানা বাঙালিয়ানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী ভট্টাচার্য এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বজবজ ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি বন্দোপাধ্যায়, বজ বজ 2 নম্বর ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলের প্রধান উপপ্রধান সহ এলাকার সুদি নাগরিকবৃন্দ।
আর ও পড়ুন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সহবাস করার অভিযোগ
বিভিন্ন জাতির (হিন্দু, মুসলিম, ক্রিশ্চান) দের নিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। বিভিন্ন জাতির ১০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজের মধ্যে দিয়ে এবং শেষ হয় রবীন্দ্র সংগীত নৃত্যের মধ্যে দিয়ে। এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাঙালিয়ানা সম্মান পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এবং বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় কে আশীর্বাদ করলেন।আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমানে যেভাবে ৩৬৫ দিন বুচান বাবু সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে থাকেন সেই ভাবেই আগামী দিনে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আর একটা কথা না বললেই নয় বজবজের বুকে এই প্রথমবার যে ভাবে বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ষোলআনা বাঙালিয়ানা উৎসবটি শুরু হলো সেভাবে যদি বাংলার প্রতিটি জেলায় জেলায় এই উৎসবটি শুরু হয় তাহলে অন্তত বাঙালিয়ানা জিনিসটা বাংলাবাসীর মন থেকে বিলীন হয়ে যাবে না