Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
কিভাবে মুরগির (Chicken) বাচ্চা (Baby) বড় (Big) করবেন

কিভাবে মুরগির বাচ্চা বড় করবেন

কিভাবে মুরগির বাচ্চা বড় করবেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বাচ্চা

কিভাবে মুরগির বাচ্চা বড় করবেন। কৃত্রিমভাবে যথন বড় করার কথা বলা হছ্ছে তখন পালিকা মায়ের দরকার পড়বে না। এখানে বাচ্চাদের বড় করা হয় স্রেফ কৃত্রিমভাবে বাচ্চাদের তাপ জুগিয়ে।

 

কৃত্রিমভাবে মুরগির বাচ্চাদের বড় করা

মানে অবশ্যই বুঝতে পারছেন। কৃত্রিমভাবে যথন বড় করার কথা বলা হছ্ছে তখন পালিকা মায়ের দরকার পড়বে না। এখানে বাচ্চাদের বড় করা হয় স্রেফ কৃত্রিমভাবে বাচ্চাদের তাপ জুগিয়ে। স্বাভাবিকভাবে মুরগির বাচ্চা বড় করার চেয়ে কৃত্রিম ভাবে বড় করার কতোগুলি সুবিধে আছে তারা হল,
(১) ঋতুর যে কোন সময়ে বাচ্চা বড় করা যায়,
(২) হাজারের ওপর বাচ্চা মাত্র একজনমানুষ বড় করতে পারে।
(৩) বাচ্চা বড় করার স্বাস্থ্য বিধানগুলি এই ব্যবস্থায় সহজেই জানা যায়,
(৪) বাচ্চার পক্ষে উপযুক্ত তাপের নিয়ন্ত্রণ সুষ্ঠুভাবে পালন করা যেতে পারে,
(৫) বাচ্চাদের খাওয়ানোর ব্যাপারটা পরিকল্পনা মোতাবেক করা যেতে পারে।

 

বাজারে বাচ্চাদের বড় করার শাবক ঘর নানা মাপোর আর ধাপের পাওয়া যায়। এবং তাপ দেবার ব্যবস্থাও বিভিন্ন। মাপ, নির্দেশনাবলী, মুরগির সংখ্যা এবং দাম নানা ধরনের হয়।
একটি আদর্শ শাবক ঘরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি হবে, তাপ নিয়ন্ত্রিত, নিয়মিত পরিশুদ্ধ বাতাস যোগানো, শুকনো ভাব, দরকার মতো আলো, বিচরণের খোলা জায়গা, বীজানুমুক্ত করার সহজ উপায়, বাচ্চাদের শুক্রদের থেকে রক্ষা, আগুন থেকে বাচানো, এবং সস্তায় নির্মাণ খরচ ইত্যাদি।

 

আর ও পড়ুন    পাবদা মাছ চাষ করবেন যেভাবে

 

বাচ্চা ঘর গরম করার নানা ব্যবস্থা থাকতে পারে, কয়লা, কেরোসিন তেল, গ্যাস, বিদু্যৎ অর্থাৎ যে কোন জিনিসি যেটা স্থানীয় জায়গায় পাওয়া যাবে এবং মুরগি পালকের ধরা ছোয়ার মধ্যে হবে। তাপ নিয়ন্ত্রণের কথা যদি তোলা হয় তবে বিদু্যৎ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো। ঝুড়ি শাবক ঘর এবং প্যাকিং বাক্স থেকে তৈরী শাবক ঘর বাজারে খুবই চালু। অবশ্য ব্যবস্থাটা তখনই খাটবে যদি বাচ্চার সংখ্যা কম হয়। যদি বাচ্চার সংখ্যা খুবই বেশি হয় তবে ব্যাটারি শাবক ঘর খুবই কাজের। এই ব্যাটারি শাবক ঘরে বহুতল ব্যবস্থা আছে এবং খাবার দেয়ারও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে। সমস্ত ব্যাটারি শাবক ঘর স্বয়ংক্রিয় ভাবে গরম থাকবে। খুব বড় বড় খামারে আজকাল এই ধরনের শাবক ঘরে বাচ্চা বড় করা হয়।

 

শাবক ঘরে বাচ্চা মুরগির পরিচর্যা

(১) বাচ্চা ঘরে ঠিকমতো তাপ দিতে হবে যেটা ওপরে বলা হয়েছে। যদি স্টোভে গরম করার ব্যবস্থা থাকে তবে দেখতে হবে স্টোভে বা ল্যাম্পে কোন গন্ডগোল আছে কিনা। কোন কারনেই যেন বাচ্চারা উত্তপ্ত আলোর কাছে না পৌছাতে পারে-সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
(২) ঘরে অবশ্যই স্যাতসেতে ভাব যেন না থাকে। এটা এড়ানো যাবে বাচ্চা ঘরে পুরুস্তরের বিছানা বিছিয়ে।
(৩) বাচ্চারা যেন বিছানার বিচুলি (খড়) খাবার অভ্যাস না করে। বাচ্চাদের খাবার দিতে হবে বাচ্চারা ১ দিনের হলে শক্ত পিচবোর্ডের ওপর। কিছুটা বড় মুরগিদের জন্য খাবারের জায়গা সবসময় যেন খাবারে ভর্তি থাকে। পরীক্ষিত এবং শাবকদের সুষম খাবার দিতে হবে।
(৪) টাটকা বাতাস আসবার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৫) বাচ্চাদের বয়স ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ হলে ওদের দাড়ে বসানো অভ্যাস করতে হবে। বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি দাড়ে বসা অভ্যাস করালে মেঝেতে ভিড় কমবে। সেই সাথে বিছানা থেকে তৈরি রোগ ব্যাধির হাত থেকেও মুক্ত থাকবে ওরা।

 

(৬) বাচ্চাদের সামনে পরিষ্কার মোটামুটি ঠান্ডা পানি দিনে অন্তত দুই বার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৭) বাচ্চা তিন সপ্তাহের বেশি বয়স হয়ে গেলে ওদের কুচানে ঘাস দেবার ব্যবস্থা করুন।
(৮) প্রতিদিন বাচ্চা ঘর খাবার এবং পানির পাত্র সহ পরিষ্কার করতে হবে।
(৯) নিয়মিত বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় টিকা দেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
(১০) সবসময় বাচ্চ ঘর যেন বাচ্চাদের ভীড়ে ভরাট না থাকে। বীড় হলে বাচ্চা বাড়বে কম এবং মারাত্নক ব্যাধির সম্ভাবনা বাড়বে।

 

(১১) বাচ্চা ঘর এমন জায়গায় করতে হবে যেন ঠান্ডা বাসাত এবং বৃষ্টি বাচ্চাদের ব্যতিব্যস্ত করে না তোলো।
(১২) প্রতিদিন বাচ্চাদের পরিদর্শন করুন। দিনে যতবার বেশি পারেন তত ভাল। লক্ষ্য করতে হবে কোন অস্বভাবিকতা নজরে পড়ে কিনা। সবসময়ে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
(১৩) বাচ্চাদের শাবক ঘরে আনবার আগে একবার ঘরের আসবাব, তাপমান যন্ত্র, পানি এবং খাবারের জায়গাগুলি ভালভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। কোন অসামঞ্জস্য বা ক্রুটি থাকলে সেটা অবশ্যই ঠিক করে নিতে হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top