সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই,অভিযুক্ত পলাতক। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার বামিহাটি ছাদিম তলা এলাকায়।মৃত বছর পঁচিশের যুবকের নাম রঞ্জিত ঘোষ।অভিযুক্ত তার দাদার নাম অভিজিৎ ঘোষ।
রবিবার সন্ধ্যায় অভিজিৎ বাড়িতে ঘরের জিনিস পত্র ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন তখন মা শ্রুতি রানী ঘোষ প্রতিবাদ করলে মাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় তখন ভাই রঞ্জিত ছুটে এসে প্রতিবাদ করতেই প্রথমে অভিজিৎ তার ছোট ভাই রঞ্জিত কে কামড়ে হাতের মাংস তুলে নেয় পরবর্তীতে চাকু দিয়ে বুকের মধ্যে পরপর আঘাত করে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে রঞ্জিত প্রতিবেশীরা মা শ্রুতি রানীর চিৎকার শুনে ছুটে আসতেই অভিযুক্ত ঘরের মধ্যে দরজা তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জিত কে প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।ঘটনায় মা শ্রুতি রানী আহত হয়।তাকেও চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে চান্দু ঘোষের প্রথম পক্ষের দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তানকে রেখে তার স্ত্রী রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার পরেই বিয়ে করেন শ্রুতি রানী ঘোষ কে।
আর ও পড়ুন সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন দিলীপ ঘোষ
এ পক্ষের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে।তিন ভাই বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশে (কুয়েত)থাকেন।সম্পতির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিবাদ হয় পরিবারে।প্রথম পক্ষের বড় ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন।অন্যদিকে দুই ভাই একই বাড়িতেই থাকেন।
মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হলেও বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরতেই বিবাদের মাত্রা বেশি হয়।অভিযুক্ত অভিজিৎ বিবাহিত সদ্য সন্তানের জন্ম হওয়ার স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাবড়া থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।অভিযুক্তর আইনিভাবে শাস্তির দাবি করেছেন পরিবার।পুলিশ অভিযুক্ত সন্ধান চালাচ্ছে।