বাড়িতে মলত্যাগ করে চম্পট দিল চোর। ময়নাগুড়ির চোরদের কির্তি বরাবরেই যেন বিষ্ময়কর। গত বছর শহর ময়নাগুড়ির এক বাড়িতে চুরি করতে এসে রিতিমত রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করে চোরেরদল। তবে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হলেও ময়নাগুড়ির রাজারহাটে এক চোরের কান্ডকারখানায় চক্ষু চরকগাছ । আসলে কি সেই চোরের কির্তি?
উল্লেখ্য, রাজারহাট বাজার সংলগ্ন নয়া বাড়ি (বড়কামাত) এলাকায় দিলীপ রায়ের বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি করতে ঘরে ঢোকে চোর, বেরোনোর পর মলত্যাগ করে পালায়। চোরের কর্ম দেখে তাজ্জব খোদ গৃহকর্তা। চাঞ্চল্য এলাকায়। দুইটি মোবাইল ফোন সহ নগত ৩৪ হাজার টাকা চুরি করে চম্পট দেয়।
জানা গেছে পেশার টোটো চালক দিলীপ রায়ের বড়ো মেয়ে কিছু দিন হয়েছে শশুর বাড়ি থেকে এসেছে, বাড়ীতে একটি শোবার ঘর থাকায় তিনি ঘরের বাইরেই ঘুমোচ্ছিলেন। ঘরে তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে ঘুমোতেন। গত কালকেও ঠিক এভাবেই ঘুমিয়েছিলেন তারা, ঘরে আলো জ্বালা ছিল। কখন চোর ঘরে ঢুকে টের পায়নি কেউ। আজ সকালে জানাজানি হয় চুরির ঘটনা। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্ত শুরু করেন।
তবে চোরের এমন ভূমিকায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছে পুলিশও। সচরাচর এরকম আজব চোরের কথা শোনা যায় না। একই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকলো চোর। কিন্তু ঘরে থাকা কেউ টেরই পেলেন না? তবে কি ঘরে ঢুকে কোনও স্প্রে ছড়িয়ে দিয়েছিল চোর?
আরও পড়ুন- পশ্চিম বঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে উস্থীতে স্কুলে বিজয়া সম্মিলনী
বাড়ীর মালিক দিলীপ রায় জানান, ‘ বাঁশের নড়ি দিয়ে চোর মাটি কেটে ঘরে ঢোকে। টোটোর নতুন ব্যাটারি কিনতে টাকা জমিয়েছিলাম। সেই টাকা সহ আমার দুই মেয়ের মোবাইলফোন নিয়ে গিয়েছে।’
তবে দিনদিন চুরির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন উঠছে। গত সপ্তাহেই দিনদুপুরে রাজারহাট বাজারে বাড়ীতে চুরি হয়। সুনা যায় নগদ এক লক্ষ টাকা সহ কয়েক গ্রাম সোনা। রাজারহাটের হাট পরিচালন কমিটির সভাপতি মনোজ দেবনাথ বলেন, ‘ চোরেদের বাড় বাড়ন্তে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এলাকার কেউ বাড়ী ছেড়ে বেরোতে চাইছেন না। সাধারণত চুরি রাতে হলেও, এখন দিন দুপুরেই চুরি হচ্ছে। চোরদের কাছে অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা আছে। পুলিশ চোরদের ধরুক।’