জীবিত থেকেও মৃত, ফলেন বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত বাদুড়িয়ার সহিদুল

জীবিত থেকেও মৃত, ফলেন বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত বাদুড়িয়ার সহিদুল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বাদুড়িয়ার

জীবিত থেকেও মৃত, ফলেন বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত বাদুড়িয়ার সহিদুল । জীবিত থেকেও সরকারি খাতায় মৃত তকমা, যার জেরে বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত বাদুড়িয়ার সহিদুল। অভিযোগের তীর উপপ্রধানের দিকে। জীবিত থেকেও মৃতের তকমা আর তার ফলেই বন্ধ হয়েছে বার্ধক্য ভাতা। অভিযোগের তীর উপপ্রধানের দিকে। ঘটনার কেন্দ্রস্থলে বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিঙ্গলেশ্বর গ্রাম।

 

এই গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ৭১ এর সহিদুল মন্ডল, পেশায় কৃষক। জীবিত অবস্থায় বহাল তবিয়তে এখন ঘুরে বেড়ালেও, সরকারি রেকর্ডে তিনি এখন মৃত। এমনই আজব দৃষ্টান্তের সাক্ষী হলো বাদুড়িয়া। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি তাঁর বার্ধক্য ভাতা যথা সময়ে পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাধ সাধলো ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। সেই মাস থেকেই তার বার্ধক্য ভাতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।

 

তারপর তিনি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করেন। ব্যাঙ্ক থেকে সঠিক কোনো কারণ জানতে না পারায় তিনি তখন স্থানীয় পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেও কোনো ফল না মেলায় অবশেষে তিনি বাদুড়িয়া বিডিও অফিসের নোডাল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি জানতে পারেন বার্ধক্য ভাতার যে তালিকা রয়েছে সেই তালিকায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এবং সেখানে তাকে মৃত বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বয়ং বর্তমান যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাইদুল হক বৈদ্য।

 

সহিদুলের অভিযোগ, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে যে তালিকায় সেই তালিকায় সই করেছেন জাইদুল নিজে। আর যার জেরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার বার্ধক্য ভাতা। এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর যার দিকে সেই জাইদুল হক বৈদ্যর কাছে যখন আমরা পৌঁছাই, তখন তিনি ঘটনার সত্যতা একপ্রকার স্বীকার করে নেন। তিনি এও জানান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেও এটা হতে পারে।

 

আর ও পড়ুন      আসানসোল স্টেশনের ইয়ার্ডে বসছে স্বয়ংক্রিয় পরিস্কারের মেশিন 

 

অন‍্যদিকে এব্যাপারে যখন বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান কনকলতা মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি জানান, যে সময় জাইদুল হক এই কাজটি করেছিল সেই সময় কনকলতা নিজে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছুটিতে ছিলেন। এবং সেই সময় পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন বর্তমানের উপপ্রধান জাইদুল হক বৈদ্য। যা করার তিনিই করেছেন। যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধুনা প্রধান কনকলতা মন্ডল আরো বলেন, “অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত করেছি। চাইবো যত দ্রুত সম্ভব ওই ব্যক্তির বার্ধক্য ভাতা যেন চালু হয়।”

 

সহিদুল মন্ডল বিষয়টি নিয়ে বাদুড়িয়ার বিডিও, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসক, বাদুড়িয়ার বিধায়ক, যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে অভিযোগ জানিয়েছেন। দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থায় দিন গুজরান হয় বৃদ্ধ কৃষক সহিদুল মন্ডলের। তার কাছে এই বার্ধক্য ভাতা ছিল পরম প্রাপ্তির। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ মাস তা বন্ধ হয়ে থাকায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে তার পরিবার। তিনি চাইছেন অবিলম্বে যেন তার মৃতের তকমা উঠে গিয়ে তাকে জীবিত ঘোষণা করা হয় এবং তার বার্ধক্য ভাতা যেন পুনরায় চালু হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top